কলকাতায় দুটি কলেজের পর পর অনুষ্ঠানে এসে আকষ্মিক প্রয়ান গায়ক কেকে-এর। তাঁর এই প্রয়ানে স্তম্ভিত সকলেই। ভাগ করছেন নানা স্মৃতি। সেই তালিকায় রয়েছেন ইমরান হাসমিও। আসলে ইমরানের জনপ্রিয়তার অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছেন গায়ক কেকে। ইমরানের জন্য সবথেকে বেশি গান গেয়েছেন কেকে। একসময় কেকে-কে ইমরানের ‘কন্ঠ’ বলা হত। সেই জুটি এবার গেল ভেঙে কেকে-র মৃত্যুতে। স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন অভিনেতা এই আকষ্মিক প্রয়ানে। চোখের জল যেন বাঁধ মানছিল না তাঁর। স্মৃতির মণিকোঠায় ভেসে আসছিল অনেক কথা। কোথা থেকে শুরু করবেন অভিনেতা নিজেও তা বুঝতে পারছিলেন না।
একের পর এক জনপ্রিয় গান। ইমরানের সিনেমার জগতে প্রতিষ্ঠা পাওয়াই তো কেকের জন্য। সেই মানুষটিই আচমকা নেই। কিছুতেই সেটা যেন মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। ইমরানের কণ্ঠ হয়ে নেপথ্যে যাঁর গান ঝড় তুলেছিল মহিলা অনুরাগীর মনে, মুহূর্তে সেরা প্রেমিকের শিরোপা দিয়েছিল ইমরানকে, তিনিই আজ স্তব্ধ।
ঠিক কোন গানটা সেরা এই জুটির? না, ইমরান বা তাঁর অনুরাগী, কেউ-ই করে বোধহয় বলতে পারবেন না। ‘তু হি মেরি সব হ্যায়’, ‘দিল ইবাদত’, ‘বিতে লমহে’, ‘জরা সা দিল মে দে জগাহ’, ‘ও মেরি জান’, ‘আই অ্যাম ইন লাভ’, ‘হা তু হ্যায়’- এমন অসংখ্য গানে ইমরান-কেকের যুগলবন্দী। কেকে আর নেই, এ খবর শুনে বহুক্ষণ সে সব গানেই ফিরে গিয়েছিলেন ইমরান। নিজের ফেসবুক স্টোরিতেও গানগুলো ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা। কেকের প্রতি তাঁর ভালবসা, শ্রদ্ধা জানাতে নিজের ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন ‘এমন একজন মানুষ, এমন কণ্ঠস্বর আর পাওয়া যাবে না। উনি আমার জন্য যত গান গেয়েছেন, সেই গানে কাজ করা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তুমি সারা জীবন আমাদের হৃদয়ে থাকবে, তোমার গানের মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকবে আমাদের কাছে। শান্তিতে থেক কেকে।’
অনুরাগীরাও এই জুটির গান মিস করছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁরা এই নিয়ে আলোচনাও করছেন। লিখেছেনও থেমে গেল গায়ক-নায়ক জুটি। তাঁরাও দুজনের জুটির কোন গানটিকে আলাদা করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। প্রায় সব গানই জনপ্রিয়।