১৯৯৯ সালে শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করেন মাধুরী দীক্ষিত। বিয়ের পর তিনি চলে যান মার্কিন মুলুকে। দীর্ঘদিন সেখানেই ছিলেন তিনি। এর পর যা হয়, সংসার-সন্তান। সব মিলিয়ে কেমন কাটল এতগুলো বছর? মাধুরী জানাচ্ছেন, পুরো ব্যাপারটাই ভীষণ কঠিন। ডাক্তারের স্ত্রী হওয়া বেশ ঝক্কির। তাঁর কথায়, “রাত হোক বা দিন যে পরিমাণ সময় তোমাদের দিতে হয় পেশার জন্য তা বেশ কঠিন।” সংসারের অনেকখানি দায়িত্বই নিতে হয়েছে মাধুরীকে। তাঁর কথায়, “বাচ্চাদ্দের স্কুল থেকে আনা, তাদের খেয়াল রাখা এইগুলো সব নিজের হাতে করতে হয়। এমন কিছু হয়ে গেল কিন্তু তোমায় পাওয়া গেল না। তখন হয়তো তুমি হাসপাতালে অন্য কারও খেয়াল রাখছ।” যদিও স্বামীর প্রতি তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। বরং তাঁকে নিয়ে মাধুরী গর্বিত। অভিনেত্রীর কথায়, “যখনই দেখি তুমি তোমার রুগীদের আগে রাখছ, তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই করছ আমার ভীষণ ভাল লাগে।”
অতীতে বহু অভিনেতার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে মাধুরীর। রটেছে লুকিয়ে বিয়ের গুঞ্জনও। কিন্তু নেনের সঙ্গে বিয়ের পর জীবনকে আরও ভাল ভাবে ভালবাসতে শিখেছেন মাধুরী। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “জীবনটাকে আরও বেশি করে উপভোগ করা শুরু করলাম। আমরা বাইরে গেলাম। একসঙ্গে ঘুরলাম। একসঙ্গে প্রচুর মজা করলাম। আমার জীবন সমৃদ্ধ হয়ে গেল। মানুষ হিসেবে আমায় আরও উন্নত করে তুলল।” অন্যদিকে মাধুরীর মতো স্ত্রী পেয়ে আবেগঘন শ্রীরাম নেনেও। তাঁর কথায়, “তুমি যেমন ভালবাস ঠিক তেমনই আগলে রাখ। তোমার মতো স্ত্রী পেয়ে আমি ধন্য।”
সম্পূর্ণ অন্য পেশার মানুষকে বিয়ে করেছেন মাধুরী দীক্ষিত। তাঁর বিয়ের খবর যখন প্রকাশ্যে এসেছিল তখন তা নিয়ে হয়েছিল নানা চর্চা। অনেকেই দাবি করেছিলেন তাঁদের বিয়ে নাকি টিকবে না। যদিও ১৯৯৯ থেকে এখনও পর্যন্ত গড়গড়িয়ে চলছে তাঁদের বিয়ের গাড়ি। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। প্রথম সন্তান আরিনের জন্ম হয় ২০০৩ সালে। অন্যদিকে রায়ান জন্ম নেয় ২০০৫ সালে। সকলকে নিয়ে সুখের সংসার মাধুরীর।