কথায় বলে নেশার ঘোরে মানুষ কী-ই না করতে পারে! ঠিক এমনই পরিস্থিতি হয়েছিল দক্ষিণী স্টার মহেশ বাবুর। অ্যান্টি টোব্যাকো ডে-তে যে সেলেবরাই প্রতিটা মুহূর্তে সাবধান করে থাকেন ধূমপান থেকে বিরত থাকার জন্য, সেই সেলেবদেরই জীবনে জড়িয়ে থাকা কঠিন লড়াইয়ের খবরও ভাইরাল হতে বিন্দুমাত্র সময় নেয় না। যে কোনও পরিস্থিতিতেই নেশা খারাপ। যে কোনও পরিস্থিতিতেই নেশা তিলে তিলে শেষ করতে পারে সকলকেই। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন রাখঢাক ছাড়াই সেলেবরা নিজেদের জীবনে জড়িয়ে থাকা কঠিন লড়াইয়ের কথা শেয়ার করে থাকেন ভক্তদের সঙ্গে।
এই গল্পগুলোই অনুপ্রাণিত করে সকলকে, যাতে তামাক সেবন থেকে বিরত থাকেন সকলেই। সমাজের ভালর লক্ষ্যে এই ধরনের বিজ্ঞাপন থেকেও ধীরে ধীরে সেলেবরা নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন ইদানিং। পাশাপাশি নিজেদের চেষ্টা ও সমস্যা নিয়েও খোলামেলা কথা বলছেন তাঁরা। শাহরুখ খান, অজয় দেবগণের পাশাপাশি এই তালিকাতে রয়েছেন মহেশবাবুও। দক্ষিণী এই স্টার নেশার ঝোঁকে একবার চুরি করতেও পিছপা হননি। কারণ একটাই, নিজেকে নেশা থেকে বিরত রাখতে পারছিলেন না তিনি। ঠিক কী ঘটেছিল, নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন মহেশবাবু।
বর্তমানে মাদক সেবন থেকে নিজেকে দূরে রাখেন দক্ষিণী স্টার। তবে একটা সময় ধূমপান ছাড়া থাকতেই পারতেন না। নিজেকে কোনও পরিস্থিতিতে সামলানো ছিল তাঁর পক্ষে কঠিন সমস্যার। তিনি কেবল ধূমপানই করতেন না, বরং ছিলেন চেইন স্মোকার। তার জেরেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁকে বারে বারে। তবে কীভাবে তিনি সেই ধূমপান থেকে সামলেছেন নিজেকে! উত্তরে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় জানান, অ্যালেন কারের একটি বইয়ের কথা। ইসি ওয়ে টো স্টপ স্মোকিং বইটার সাহায্য নেওয়ার জন্যও তিনি উপদেশ দিয়েছিলেন ভক্তদের। ২০১০ সালে করা এই পোস্ট দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিল ভক্তরা। দক্ষিণী সুপারস্টারেরা বর্তমানে নিজেদের নানা সোশ্যাল কাজে যুক্ত রাখতেই পছন্দ করেন। মহেশবাবু তাঁদের মধ্যেই একজন যিনি বারে বারে ধূমপান নিয়ে সতর্ক করে থাকেন তাঁর ভক্তদের।
যদিও সম্প্রতি মহেশবাবুর বিতর্কে নাম জড়িয়েছে তামাক জাতীয় দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের মুখ হওয়াতে, বলিউড সেলেবদের পাশাপাশি তিনিও হয়েছিলেন চরম ট্রোল্ড। কারণ একটাই, একদিকে তিনি যেমন সচেতন করছেন, ঠিক তেমনই অন্য দিকে তিনি সেই বিজ্ঞাপনেরই মুখ হচ্ছেন। যা ঘিরে কড়া ভাসায় সমালোচিত হন তিনি।