অবাধে ছাপ্পা, বোমাবাজি, প্রকাশ্যেই খুন কর্মী-সমর্থক… ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটে সকাল থেকেই এ হেন দৃশ্যই চোখে পড়ছে বাংলাময়। রাজ্যজুড়েও কান্নার রোল, হাহাকার আর আর্তনাদ। ভোট দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাও সামনে আসে। এ হেন অবস্থায় যখন গোটা রাজ্যে কার্যত প্রতিবাদের ঝড় তখন একটি পোস্ট করলেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। লেখেন, “পড়ে থাক গণতন্ত্রের লাশ, পচুক , গন্ধ বেরোক , সেই গন্ধ নাকে নিয়ে মাংস ভাত খাক রাজনৈতিক শিবিরগুলো , দুপুরবেলা আমরাও খাই পেট ভরে। গন্ধটা আরও তীব্র হওয়ার আগে চলুন খেয়েনি , আসুন, যোগ দিন মাংস ভাত খাওয়ায় , আমাদের ভাগাড়ের মাংস।”
ঋদ্ধির ওই পোস্ট নিয়ে নেটমাধ্যমে মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বেশিরভাগই অবশ্য কটাক্ষ করেছেন তাঁকে। কেন সামাজিক মাধ্যমে বসে তাঁর এই প্রতিবাদ? উঠে এসেছে প্রশ্ন, অনেকেই আবার খোঁজ করেছেন তাঁর বাবা কৌশিক সেনের। কেন তাঁরা চুপ? কেন এই ভোট হিংসা নিয়ে শুধু একটা পোস্ট, প্রশ্ন রেখেছেন অনেকেই।
২০২১-সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি জগতের বেশ কয়েক জন বিশিষ্ট একটি গান বেঁধেছিলেন। এনআরসির প্রতিবাদে রচয়িত ওই গানের দুই লাইন খানিক এরকম, ‘আমি অন্য কোথাও যাব না… আমি এই দেশেতেই থাকব।’ ওই গানটির ভিডিয়োতে অংশ নিয়েছিলেন ঋদ্ধি সেনও। সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়ে একজন ঋদ্ধিকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, “আমরা অন্য কোথাও যাবো না/ আমরা এইখানেতেই থাকবো… গানের কথা গুলো মনে পড়ে।” ঋদ্ধির উত্তর, “হ্যাঁ পড়ে, বেশ করে মনে পড়ে, আবার পড়বে, আবার বলব’। ঋদ্ধি এ কথা বললেও পরিসংখ্যান বলছে ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটের বলি এখনও পর্যন্ত ৩৪। আজ অর্থাৎ শনিবার ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে হিংসায় রাজ্যজুড়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও কমিশনের বক্তব্য, ভোট-হিংসায় প্রাণ গিয়েছে ৩ জনের। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এই হিংসার শেষ কোথায়? সেই উত্তরই হাতড়ে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। উত্তর দেবেন কে?