প্রয়াত বিখ্যাত সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। ৮২ বছর বয়সে হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। পাণ্ডব গোয়েন্দার স্রষ্টা, তথা রহস্য রোমাঞ্চ কাহিনি, ভৌতিক গল্প, ভ্রমণ কাহিনি, বাংলা গোয়েন্দা গল্প লিখেছিলেন। ২০১৭ সালে শিশু সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রদান করে।
দুঃসংবাদ পেয়ে TV9 বাংলা যোগাযোগ করে ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠ কন্যা ইন্দ্রাণী হাজরার সঙ্গে। তিনি বলেছেন, “হাওড়ার রামরাজাতলার বাড়িতে বাবাকে নিয়ে আসা হবে। তারপর সেখান থেকে শিবপুরে নিয়ে যাওয়া হবে দাহ করানোর জন্য। বাবার স্ট্রোক হয়েছিল। এটা তৃতীয়বার। আগে দু’বার হল যখন বাবাকে বাঁচাতে পেরেছিলাম। প্রথম স্ট্রোক হয় ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর। দ্বিতীয়বার হয় জানুয়ারির ১৮ তারিখে। এই রবিবার, অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি বাবার আবার স্ট্রোক হয়। এবার আর বাঁচাতে পারলাম না। হাওড়ার বেসরকারী হাসপাতালেই বাবা ভর্তি ছিলেন।”
আর কিছুদিন পর, অর্থাৎ ৯ মার্চ জন্মদিন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। একই মাসে তাঁর মৃত্যুও ঘটে গেল। এ যেন বাংলা সাহিত্য জগতের কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতি। হাওড়া থেকে কোনওদিন বের হননি লেখক। সেখানেই ছিল তাঁর সাহিত্যচর্চার আঁতুড়ঘর। একটা সময় একাধিক পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেছেন। কাজ করেছেন সংবাদপত্রের দফতরেও। হাওড়া ছেড়ে না নড়লেও বিভিন্ন দেশ-বিদেশে ঘুরেছেন। একাধিক ভ্রমণকাহিনিও লিখেছেন। পাণ্ডব গোয়েন্দা ছাড়াও সৃষ্টি করেছিলেন আরও দুই গোয়েন্দাকে – অম্বর চট্টোপাধ্য়ায় এবং গোয়েন্দা তাতার। ২০১৯ সালে গোয়েন্দা তাতারকে নিয়ে ছবিও তৈরি হয়েছে। পাণ্ডব গোয়েন্দাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বাংলা সিরিয়াল।