Pradip Dasgupta: একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারতেন না! নির্মলার প্রয়াণের বছর খানেকের মধ্যেই প্রয়াত স্বামীও
Nirmala Mishra's husband Death: ১৫ অগস্ট, দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। প্রদীপ দাশগুপ্ত শুধুমাত্র নির্মলা মিশ্রের স্বামী ছিলেন এমনটা নয়, তিনি নিজেও ছিলেন বহু কালজয়ী গানের সুরকার ও গীতিকার।
২০২২ সালের ৩১ জুলাই প্রয়াত হয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্র। এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই চলে গেলেন তাঁর স্বামী প্রদীপ দাশগুপ্ত। আজ অর্থাৎ ১৫ অগস্ট, দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। প্রদীপ দাশগুপ্ত শুধুমাত্র নির্মলা মিশ্রের স্বামী ছিলেন এমনটা নয়, তিনি নিজেও ছিলেন বহু কালজয়ী গানের সুরকার ও গীতিকার। দু’জনের ছিল ভালবাসার বিয়ে। ওড়িয়া সঙ্গীত জগতে দু’জনে একসঙ্গে গান গাইতেন। তখন থেকেই আলাপ দু’জনের।
যদিও প্রেম হয়েছে অনেক পরে। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলেই শোনা যায় নির্মলার শেষ দিন পর্যন্ত তাঁকে আঁকড়ে রেখেছিলেন প্রদীপ দাশগুপ্ত। ‘পূর্ণিমা রাত আর ভাল লাগে না’, ‘ভুল বুঝে ব্যথা পেও না’র মতো গানের সুরকার ছিলেন প্রদীপ বাবু। মধ্যবয়সে যদিও ইন্ডাস্ট্রিতে যথাযোগ্য সম্মান না পাওয়ায় অভিমান জমেছিল তাঁর।
এ দিন প্রদীপবাবুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ‘একলব্য’ ব্যান্ডের গায়ক পার্থসারথী একলব্য লেখেন, “দু’জন দু’জনকে ছাড়া একদম থাকতে পারতেন না । নির্মলাদি ডাকতেন ‘ জয়’ বলে, আর প্রদীপদা বলতেন ‘ জয়ী ‘। নির্মলাদির অনেক অনেক কালজয়ী গানের সুরকার ছিলেন প্রদীপদা। জীবনের শেষদিন অবধি স্ত্রী কে সঙ্গ দিয়েছেন, সেবা করেছেন।” তিনি আরও লেখেন, “তাই নির্মলাদির চলে যাবার একবছর কাটতে না কাটতেই রওনা দিলেন তাঁর জয়ীর সঙ্গে মিলবেন বলে। ভাল থাকুন এবার দু’জন মিলে।” শেষ বয়সেও কি বুকে জমা ছিল সেই অভিমান? যোগ্য সম্মান না পাওয়ার ক্ষোভ নিয়েই চলে গেলেন তাঁরা, জানাচ্ছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহিল। তাঁর মৃত্যুতে সঙ্গীতজগতের আজ মন খারাপ।