অবিশ্বাস্য! খবর পাওয়া মাত্রই এই একটাই শব্দ সকলের মুখ থেকে প্রথমেই বেরিয়ে এসেছে। কেকে আর নেই। হঠাৎ খবরটা কানে আসতেই চমকে উঠল গোটা দেশ। কিছুক্ষণ আগেও তো এই মানুষটি দিব্যি স্টেজ কাঁপাচ্ছিলেন! একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। দেখা গিয়েছে গরম লাগছিল তাঁর, উঠেছে একাধিক বিতর্কও, এসি কি আদেও কাজ করছিল! অতিরিক্ত শ্রোতার সংখ্যার জেরে কি এই ভয়ানক অস্বস্তি, গরম, চরম পরিণতি! কেকের প্রয়াণের খবর পাওয়া মাত্রই সেই প্রসঙ্গে আরও একবার মুখ খুললেন গায়ক রূপম ইসলাম। লিখলেন- ‘একই সুপারহিট অ্যালবাম ‘জন্নত’-এ কাজ করা সত্ত্বেও আমাদের আলাপ হয়নি কোনওদিন। অনেকের সঙ্গেই তো হয়েছে। কেকে-র সঙ্গে হয়নি। আজ মনে হচ্ছে আলাপটা হওয়ার ছিল না।’
কেকে-র শোকে এদিন স্মৃতিতে ডুবলেন গায়ক, লিখলেন- ‘খুব কম শিল্পীর গান চার ফর্ম্যাটে সংগ্রহ করে শুনেছি। প্রথমে ক্যাসেট। তারপর সিডি। তারপর ডিজিট্যাল। সব শেষে এল পি রেকর্ড। ‘পল’ অ্যালবামটি এমনই মারাত্মক এফেক্ট ফেলেছিল জীবনে যে ওই অ্যালবামের সব কিছুই সংগ্রহে আছে। এই অ্যালবামের একটি গান একবার ফসিলস-এর হয়ে কাভার করেছিলাম। ‘আপ কি দুয়া’। স্ট্রেট ফরোয়ার্ড রক অ্যান্ড রোল। জানি না কোনও শ্রোতার সে কথা মনে আছে কি না। তখনও তো ফসিলস পরিচিত হয়ে ওঠেনি।’
তবে এখানেই থেমে থাকেননি গায়ক রূপম। স্টেজে বিপুল সংখ্যক শ্রোতার সামনে গান গাওয়াটা কতটা চ্যালেঞ্জের, বিশেষ করে নজরুল মঞ্চের মত জায়গায়, তাও সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিলেন তিনি, স্টেজ কাঁপিয়ে দর্শক মনে ঝড় তোলেন রূপম। তাই কেকে-র যন্ত্রণা তিনিও ছুঁয়ে দেখেছেন… সেই প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন গায়ক, লেখেন, ‘নজরুল মঞ্চ ওভারক্রাউডেড হয়ে গেলে কী হয়, সে অভিজ্ঞতা আছে। এসি বন্ধ হয়ে যায়। মঞ্চেও সার বেঁধে দর্শক দাঁড়িয়ে থাকলে দম নেওয়ার ফাঁকটুকুও থাকে না। কয়েকদিন আগে এরকমই এক অনুষ্ঠানে রকসংগীত পরিবেশন করেছিলাম। অভ্যেস না থাকলে পারা মুশকিল— এ নিয়ে কয়েকটি মন্তব্য করেছিলাম। এখন হয়তো কেউ কেউ বুঝবেন— কতটা শারীরিক কষ্ট সহ্য করে আমাদের পারফর্ম করতে হয়। ঠান্ডার দেশ তো আর নয়!’