সৈয়দ মুস্তফা সিরাজ। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে উজ্জ্বল এক নাম। এক প্রতিষ্ঠানও বলা যায়। তাঁরই জন্মদিনের সাহিত্য সমাবেশে দু’বছর আগে গান গেয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী সাহানা বাজপেয়ী। ২০১৯ সিরাজ আকাদেমি পুরস্কার প্রদানও হয় সে দিনই। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই অনুষ্ঠানের একটি ছবি শেয়ার করে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণা করেছেন সাহানা।
সাহানা লিখেছেন, ‘সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের ৯০-তম জন্মদিনের সাহিত্য সমাবেশ ২০শে নভেম্বর ২০১৯। তখনও জানি না পৃথিবী বদলে যাবে হঠাৎ, চলে যাবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। যাঁদের সঙ্গে মঞ্চে বসলাম, তাঁদের সঙ্গে আমার কিশোরীবেলার ও বড়বেলার দুপুরগুলো কী যে মায়ায় বাঁধা। শঙ্খবাবু, শীর্ষেন্দুবাবু ও দেবেশকাকা। আর যাঁর জন্মদিন, তিনি তো ছিলেনই মঞ্চে আমাদের সকলের সঙ্গে। বাকি যাঁরা তাঁরাও প্রণম্য। সাধন চট্টোপাধ্যায় ২০১৯ সিরাজ আকাদেমি পুরস্কার পেলেন। আর ঠিক আমার সামনে বসেছিলেন আমার ছোটবেলার বাংলার শিক্ষিকা সুমিতাদি। এমন সন্ধ্যে বার বার আসেনা। শঙ্খবাবু আর দেবেশকাকা না ফেরার দেশে চলে গেলেন গত বছর । সৈয়দ হাসমত জালালদা-কে অনেক ধন্যবাদ আমাকে এই অনুষ্ঠানে গান গাইতে বলার জন্যে। এই স্মৃতি অমলিন হয়ে থাকবে যতদিন আছি।’
বাংলা গানের জগতে সাহানা এক অন্য ধারার নাম। রবীন্দ্রসঙ্গীত হোক বা বাংলা নিজস্ব গান, নিজের গায়কী দিয়েই শ্রোতার মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন সাহানা। শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা, তাঁর বড় হওয়া। শিক্ষকতার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর জুড়ে রয়েছেন তিনি। আর রয়েছে তাঁর গান। প্রাণের টানে গান করেন সাহানা। ছোট থেকেই তালিম নিয়েছেন তিনি। সেই নেশা এখন তাঁর পেশাও বটে। মঞ্চে পারফরম্যান্স, ছবির রেকর্ডিং, নিজস্ব গান নিয়ে ব্যস্ততায় সময় কাটে সাহানার। একমাত্র মেয়ে বড় করছেন শান্তিনিকেতনে থেকেই। এই ব্যস্ত জীবনে ফেলে আসা সময় ফিরে দেখলেন তিনি। নস্ট্যালজিয়ায় ভাসলেন সাহানা।
আরও পড়ুন, Malaika Arora: যত বয়স হচ্ছে বুঝতে পারছি দ্বন্দ্ব, উদ্বেগের মধ্যে আর থাকতে চাই না: মালাইকা আরোরা