আরমান মালিক এ বছরটা সঙ্গীত জগতের জন্য ‘কালো বছর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। লতা মঙ্গেশকর থেকে শুরু করে বাপ্পি লাহিড়ী, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়– একের পর এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারিয়েছিল আমরা। সেই তালিকায় আরও এক নাম। প্রয়াত কিংবদন্তী সন্তুর বাদক ভজন সোপরী। বৃহস্পতিবার গুরগাঁওয়ের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কাশ্মীরি তারকা। বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। হাসপাতা লসুত্রে খবর, দীর্ঘদিন রোগভোগের পর প্রয়াত হয়েছেন তিনি। পরিবারে স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছেন। তাঁরাও সন্তুর বাদক।
কাশ্মীর উপত্যকায় জন্ম তাঁর। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতের সুফিয়ানা ঘরানাই অনুসরণ করে এসেছে। পরিবারের ছয় প্রজন্ম ধরে সন্তুরেরএকনিষ্ঠ সাধক সোপরি পরিবার। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই প্রথম বার জনসমক্ষে সন্তুর বাজিয়েছিলেন এই কিংবদন্তী। তাঁর সন্তুরের মিঠে আওয়াজ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বেই। জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতের সাংস্কৃতিক যোগের অন্যতম সূত্র ছিলেন তিনিই। গোটা জীবন জুড়েই পেয়েছেন একগুচ্ছ পুরস্কার। ১৯৯২ সালে পান সঙ্গীত নাটক অ্যাকাদেমি অ্যাওয়ার্ড। ২০০৪ সালে তাঁকে পদ্মশ্রীতে ভূষিত করা হয়। ২০০৯ সালে পান বাবা আলাউদ্দিন খান পুরস্কার। ২০১১ সালে সঙ্গীত জগতে অবদানের জন্য তাঁকে দেওয়া হয় এমএন মাথুর পুরস্কার।
অবশেষে ৭৩-এ স্তব্ধ হল তাঁর সেই সুর। স্তব্ধ হল এক অধ্যায়ের। শোকের ছায়া সঙ্গীত জগতে। পর পর মৃত্যু যেন মেনে নিতেই পারছেন না কেউ। কেউ ভুগছেন কোন এক অজানা আশঙ্কায়। দুই ছেলের মধ্যে দিয়েই বেঁচে থাকবে মায়েস্ত্রো, এই কামনাই বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা তাঁর অসংখ্য অনুরাগীর।