সম্প্রতি একটি সমীক্ষা জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিশ্বের মোট ১৩টি দেশের মহিলাদের মধ্যে অন্তত ৪৫ শতাংশ রিপোর্ট বলা হয়েছে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি হিংসা ও নির্যাতনের আক্রান্ত হয়েছেন মহিলারা। ইউএন উইমেনের এই চাঞ্চল্যকর তথ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
২৪ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে হিংসা ও নির্যাতনের শিকার হওয়া মহিলাদের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের পরিমাণ আগের তুলনায় প্রায় ১.৩ গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৫ নভেম্বর মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা নির্মূলের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষা বলা হয়েছে, ওই ১৩টি দেশ হল, ইউক্রেন, থাইল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, নাইজেরিয়া, আলবেনিয়া, বাংলাদেশ, ক্যামেরুন, কলম্বিয়া, আইভরি কোস্ট, কেনিয়া, জর্ডন, কিরগিজস্তান, মরক্কো।
ইউএন উইমেন রিপোর্টে অনুযায়ী দ্য় নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ১০ জন মহিলার মধ্যে সাতজন মহিলা জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের সঙ্গীদের থেকে মৌখিক ও শারীরিক নির্যাতেনের শিকার হয়েছেন। প্রতি ১০ জনের মধ্যে তিনজন জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের গোষ্ঠীর দ্বারা হিংসাত্মক ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে চার মহিলা পাবলিক প্লেসে বেশি নিরাপদ বোধ করেন না। সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ১০ জনের মধ্যে ছয় জন জনসমক্ষে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
একই দিনে ন্যাশানাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে বিবাহিত মহিলাদের দ্বারা হিংসার শিকার হয়েছে। যদিও ২০১৫-১৬ রেকর্ড বলছে, ৩১.২ শতাংশ মহিলা হিংসা ও নির্যাতনে আক্রান্ত হয়েছেন। সমীক্ষা অনুযায়ী তথ্য বলছে, ২০২০র জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত (লকডাউনের আগে) ও নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি (পোস্ট লকডাউন) পর্যন্ত মহিলাদের মধ্যে অন্তত ১.৫ শতাংশ জানিয়েছেন, ১৮ বছর বয়সে যৌন নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন। শহরাঞ্চলে ১.১ শতাংশ, গ্রামাঞ্চলে ১.৬ শতাংশ এই একই কথা জানিয়েছেন।
জাতীয় তথ্য অনুসারে, গর্ভাবস্থায় শারীরিক নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়া মহিলাদের সংখ্যাও সামান্য হ্রাস পেয়েছে। সমীক্ষা ৩.১ শতাংশ ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন এ ব্যাপারে। NFHS অনুসারে, ৩.৯ শতাংশ মহিলারা গর্ভাবস্থায় হিংসার শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: National Milk Day 2021: সকালে দুধ গরম না ঠান্ডা খাওয়া উচিত? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?