সঙ্গীত জগৎ ফের শোকস্তব্ধ। প্রয়াত কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্র। শনিবার রাত ১২টা ১০ নাগাদ নিজ বাসভবনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। টিভিনাইন বাংলাকে তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। এর আগে সেরিব্রাল হয়েছিল। বাঁ দিক অসাড়ও হয়ে যায় তাঁর। পরিবারের তরফে তাঁর ছেলের কথায়, “২০২১ থেকে ২০২২ খুবই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন মা। কথা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শনিবার সকাল থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রাত্রি বেলা মা চলে গেলেন”।
আপাতত শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে রাখা হয়েছে তাঁর নিথর দেহ। রবিবার সকালে সেখান থেকে দেহ নিয়ে এসে সরকারি তরফে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেই মতোই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে পরিবার। এ বছর যেন সঙ্গীত জগতের অভিশপ্ত এক অধ্যায়। ফেব্রুয়ারিতেই চলে গিয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। প্রয়াত হয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ীও। এবার চলে গেলেন নির্মলা মিশ্রও। সঙ্গীত জগৎ হারাল তাঁর কৃতী স্বজনকে।
১৯৩৮ সালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মজিলপুরে জন্মগ্রহণ করেন নির্মলা। তাঁর বাবা ছিলেন পণ্ডিত মোহিনী মোহন মিশ্র। বাবার চাকরি সূত্রেই চেতলায় চলে আসেন তাঁর পরিবার। ছোট থেকেই সঙ্গীতের আবহেই বড় হয়ে উঠেছিলেন বাবা মোহিনীমোহন মিশ্র ও দাদা মুরারিমোহন মিশ্র দু’জনই ছিলেন স্বনামধন্য গায়ক। ১৯৬০ সালে সঙ্গীত দুনিয়ার সঙ্গে পেশাগত আলাপ হয় তাঁর। সঙ্গীত পরিচালক বালকৃষ্ণ দাসের ‘শ্রী লোকনাথ’ ছবিতে গান গেয়েই সঙ্গীত জগতে প্রবেশ তাঁর। কখনও ‘ও তোতা পাখি রে’ আবার কখনও বা ‘এমন একটা ঝিনুক খুঁজে পেলাম না’– নির্মলা মিশ্রের কন্ঠের অনুরাগী ছড়িয়ে রয়েছে সারা বিশ্বে। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারও শোকস্তব্ধ। এ যেন এক আস্ত যুগের অবসান।