প্রায় এক বছর ধরে নিভৃতবাস, তবু করোনা ছোবল বসাল তসলিমা নাসরিনকে
এক বছর ধরে একা একা ঘরে কাটিয়েও কীভাবে করোনার কবলে পড়লেন তসলিমা? মাস দুয়েক আগে ঘন্টাখানেকের জন্য তিনি শুধু একবার বেরিয়েছিলেন। করোনা তাড়াতেই ভ্যাকসিন নিতে। তবু শেষরক্ষা হল না।
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিন। করোনা আক্রান্তের কথা লেখিকা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। নিজেকে ‘দুর্ভাগা’ বলে আক্ষেপ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন গত বছর মার্চ মাস থেকেই তিনি একা একা ঘরে কাটাচ্ছেন। বিশুদ্ধ নিভৃতবাস। সঙ্গী শুধু একটা বিড়াল। ঘরের যাবতীয় কাজ নিজেই করতেন। এক পা-ও বাইরে বেরোননি। তবু করোনার ছোবল খেলেন তিনি। তবে লেখিকা জানিয়েছেন তিনি ভাল আছেন। ক্রমশই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এক বছর ধরে একা একা ঘরে কাটিয়েও কীভাবে করোনার কবলে পড়লেন তসলিমা? মাস দুয়েক আগে ঘন্টাখানেকের জন্য তিনি শুধু একবার বেরিয়েছিলেন। করোনা তাড়াতেই ভ্যাকসিন নিতে। তবু শেষরক্ষা হল না। যাকে তাড়াতে বেড়িয়েছিলেন সে-ই ঘরে এসে বাসা বাঁধল! করোনায় আক্রান্ত হলেন লেখিকা। তবে তিনি মনে করেন ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন বলেই এ-যাত্রায় তিনি বেঁচে গেলেন। করোনা খুব একটা কাবু করতে পারেনি। তবু তাঁর মনে দুঃখ। দুঃখ নিজের জন্য নয়। তবু তো তিনি ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন। কিন্তু যাঁরা এখনও ঠিকমত শ্বাস নিতে পারছে না, সুস্থ হয়ে উঠতে পারছে না,তাঁদের জন্য লেখিকার চিন্তা।দুঃখ। তবে একটা জিনিস একটু স্বস্তি দিয়েছে লেখিকাকে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “এটি আর স্টিগমা নয় আগের মতো। কারো কোভিড হলে সে লুকিয়ে রাখতো খবর, কারণ কোভিড হওয়াটা অনেকটা ছিল এইডস হওয়ার মতো। সমাজ ব্রাত্য করে দিত। এক বছরে এত মানুষকে ধরেছে এই কোভিড, এতে, ভালো, যে, স্টিগমাটা গেছে। কেউ আর বলতে দ্বিধা করেনা যে তার কোভিড হয়েছে।”
আরও পড়ুন:পৃথিবীর নাম হোক পঁচিশে বৈশাখ
গত বছর দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য তবলিঘি জামাতের সমাবেশকে কাঠগড়ায় তুলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তসলিমা। ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি। টুইটে লিখেছিলেন, ‘সন্ত্রাস ছড়ানোর পিছনে জামাতের পরোক্ষ যোগ বহু ক্ষেত্রেই থাকে। উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তানও তাদের নিষিদ্ধ করেছে’।