শুক্রবার সকালের বিমানেই কলকাতায় এসেছেন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র পরিচালক সুদীপ্ত সেন ও নায়িকা আদাহ শর্মা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছবিটিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের উপর শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশের খবর সামনে আসতেই নিজের শহর কলকাতায় আসেন সুদীপ্ত। ছিলেন খুশিমনেই। ইচ্ছে ছিল সাংবাদিক বৈঠকের পর ঘুরে দেখবেন শহরের সিনেমা হল গুলি, যেখানে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ পুনরায় প্রদর্শন হবে। কিন্তু এ কী! শহরে এসে হতাশ পরিচালক। শীর্ষ আদালত অনুমতি দিলেও এখনও পর্যন্ত শহরের হলগুলিতে প্রদর্শিত হচ্ছে না এই ছবি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি ও আদাহ রাজনীতিবিদ নই। ভেবেছিলাম হল ভিজিট করব। কিন্তু ভীষণ হতাশ হলাম। বুঝতে পারছি না অনুমতি পাওয়ার পরেও কেন হলে দেখানো হচ্ছে না এই ছবি।” এখানেই শেষ নয়, পরিচালকের আরও দাবি, কারা ফোন করে ধমক দিচ্ছে এই ছবি প্রদর্শনে বাধা দিচ্ছে, তা জানতে পারলেই তিনি সকলকে জানাবেন। হাজির ছিলেন নায়িকা আদাহ শর্মাও। তাঁর সাফ বক্তব্য, সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে এই ছবি। ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন ছবিটির প্রযোজক বিপুল শাহও। তাঁর দাবি আরও বিস্ফোরক। এ দিন তিনি বলেন, “ভয় দেখিয়ে সিনেমা হলের মালিকদের সিনেমা দেখতে বারণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের কথা না মানলে প্রয়োজনে আবারও আদালতে যাব।” কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন পশ্চিমবঙ্গের সিনেমা হলে দেখানো হচ্ছে না এই ছবি? নেপথ্যে কি ‘রাজনৈতিক বারণ’? ডিস্ট্রিবিউটারদের একাংশের দাবি, পরপর বেশ কয়েকটি বাংলা ছবির আজ অর্থাৎ শুক্রবার মুক্তি পাওয়ার কথা। এ সবের ভিড়ে এই ছবিকে জায়গা দেওয়ার মতো স্লট খুঁজে পেতে তাঁরা অপারগ। সত্যিই কি তাই? উঠেছে সে প্রশ্নও।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পর টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে এক্সক্লুসিভলি কথা বলেছিলেন সুদীপ্ত। তিনি বলেন, “ভীষণ ভাল খবর। ভীষণ খুশির খবর। আমাদের কাছে এটা সহজ সময় ছিল না। আমি যে রাজ্য থেকে প্রতিনিধিত্ব করি, সেই রাজ্যের লোক দেখতে না পেলে তা খুব দুঃখজনক। আজ ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।আমি অনুরোধ করব, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই সিনেমাটা দেখার জন্য। উনি ফিল্মটা দেখুন। আমরা সঙ্গে বসে দেখতে চাই। তারপর উনি ওঁনার মতামত দিন। আমার ধারণা ও বিশ্বাস, ওঁনার ছবিটা ভাল লাগবে।” কিন্তু সুদীপ্তর সেই আশা পূরণ হল না। মন খারাপ নিয়েই বিদায় জানাতে হল শহরকে।