রাত পেরলেই ৮১ বছর বয়সে পা দেবেন অমিতাভ বচ্চন। গোটা দেশ, বলিউড এবং অমিতাভের নিজের বাড়ির মতো সাজোসাজো রব কলকাতার বন্দেল গেটের একটি বাড়িতে। বাড়িটির নিজস্ব নামও আছে – ‘বচ্চন ধাম’। এলাকাবাসী জানেন, এই বাড়িতেই নিত্যদিন পূজিত হন অমিতাভ বচ্চন। বিরাট সিংহাসনে বসে থাকে অমিতাভের সুট পরা একটি মূর্তি। চারদিকে তাঁর সিনেমার পোস্টার। ঘটনাটি ঘটিয়েছেন অমিতাভেরই এক ভক্ত। যিনি প্রকৃত অর্থেই অমিতাভকে পুজো করেন ‘দেবতা’ রূপে। তাঁর নাম সঞ্জয় পাটোদিয়া। প্রত্যেক বছর সেই মন্দিরে ঘটা করে পালিত হয় অমিতাভের জন্মদিন। ঠিক যেমন জন্মাষ্ঠমীতে পুজো করা হয় গোপালের, হনুমান জয়ন্তীতে বজরংবলীর। কালী, শিবের যেভাবে আরাধনা হয় বিশেষ-বিশেষ দিনে, ঠিক সেই ভাবেই। পাঠ করা হয় ‘অমিতাভ চালিসা’ (‘হনুমান চালিসা’র মতো অমিতাভের চালিসায় আছে তারকার নামে স্তব)।
এই বচ্চন ধামের কথা জানেন স্বয়ং অমিতাভও। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’তে বহুবারই উল্লেখ করা হয়েছে এই ধামের। ভক্ত সঞ্জয়ের জন্য বার্তাও পাঠিয়েছেন অমিতাভ। বলেছেন, “আমি মানুষ। আমাকে যদি ভালবাসতেই হয়, সমাজসেবা মূলক কাজ করো তোমরা। আমার তাতেই পরিতৃপ্তি।”
ঈশ্বরের যেমন আদেশ। ঠিক তেমনই পালন করে পাটোদিয়া পরিবার। TV9 বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে ১১ অক্টোবর (অমিতাভের জন্মদিন) কী-কী পরিকল্পনা আছে জানালেন সঞ্জয়। বললেন, “প্রথমেই আমরা শিবঠাকুরের পুজো করব। তারপর আমাদের ঈশ্বর অমিতজির নির্দেশ মতো ৮১জন অসহার বাচ্চার মঙ্গল কামনায় তাঁদের হাতে তুলে দেব স্কুল ব্যাগ। তাঁদের দেওয়া হবে লেখাপড়ার অন্যান্য সামগ্রীও। তাঁদের জন্য দুপুরে খাওয়াদাওয়ারও ব্যবস্থা করেছে আমাদের পরিবার। বেলা ১১টা নাগাদ অমিতাভজির জন্য কেক কাটব আমরা। পাঠ করা হবে ‘অমিতাভ চালিসা’। তাঁর আরতি হবে। পুজো হবে। আমরা চাই সকলে আসুক। অংশ নিক আমাদের অমিতাভ-আরাধনায়।”
বিগত ২১ বছর ধরে এই পুজো পাঠ চলছে অমিতাভের নামে। তিনি রীতিমতো ঈশ্বর এই মানুষগুলোর কাছে। তাঁদের বেঁচে থাকার নতুন মানে।