Singer KK Death: ‘অসুস্থ জেনেও জোর করেছে, ছেলেটা না হলে বেঁচে যেত’, বিস্ফোরক মন্তব্য কেকে ঘনিষ্ঠ প্রত্যক্ষদর্শীর
Singer KK Death: শো- কোঅর্ডিনেটার তোচন ঘোষ তাঁর এই শেষ সফরের সঙ্গী ছিলেন। দু'দিনে কেমন দেখেছেন কেকে-কে? শরীর যে ভাল নেই তা কি বুঝতে পেরেছিলেন গায়ক?
মঞ্চে মেরেকেটে রয়েছে আড়াই হাজার দর্শকের আসন। কিন্তু অসমর্থিত সূত্র বলছে, নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢুকেছিলেন সাড়ে সাত হাজার দর্শক। পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকেছিলেন বহু জন। খুলে দেওয়া হয়েছিল মঞ্চের সাতটি দরজাও। অতিরিক্ত ভিড়, ঠিক ভাবে কাজ করছিল না শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, তারই মধ্যে কেউ রাসায়নিক স্প্রে করেছিলেন, ধরে নেওয়া হচ্ছে, সেটি ফায়ার এক্সটিংগুইশর। দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। এবার আগুনে ঘি ঢাললেন চার দশক ধরে বহু অনুষ্ঠানের আয়োজক তোচন ঘোষ। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। গতকালের চরম ‘বিশৃঙ্খলা’ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য তাঁর।
তাঁর কথায়, “এসি চলছিল না, এ কথা সত্যি নয়। ৩০০০ মানুষ ঢোকার কথা ৭০০০ মানুষ ঢুকে গিয়েছে। এসি কাজ করবেই বা কী করে? সকাল থেকে সুস্থই ছিল। গাইতে উঠে অসুস্থ মনে করে ও নিজেকে। গ্রিনরুমে যাচ্ছে মুখে জল দিচ্ছে। একবার অনুষ্ঠান থামিয়েও দিতে হয়। একটা এত বড় অনুষ্ঠান হচ্ছে সেখানে কোনও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা নেই!”
উদ্যোক্তাদের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। যোগ করেন, “ওরকম অসুস্থ, সেকেন্ড হাফে আবারও ওকে দিয়ে জোর করে গান করায়। এটা তো উদ্যোক্তাদের গাফিলতি। ও বেঁচে যেত। এ যাত্রায় এভাবে ওকে হারাতাম না আমরা।” গোটা ঘটনায় কেকের ম্যানেজার হিতেশ ভাটের দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, “হিতেশ ভাটেরও দোষ আছে। যখন ও বারবার করে বলছে, অত বড় বড় লাইটে কষ্ট হচ্ছে তখন তো অনুষ্ঠানটাই বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ ছিল। খুব বেশি হলে কী হত? কলেজকে না হয় টাকা ফেরত দিয়ে দিত।” তাঁর আক্ষেপ তিনি যদি এই শো’য়ের আয়োজক হতেন তাহলে হয়তো এভাবে চলে যেত হত না ‘প্রিয় ভাই’কে। মাঝপথে অনুষ্ঠান বন্ধ করেই হাসপাতালে নিয়ে যেতেন তিনি।
১৭ বছর ধরে কেকে’কে চেনেন তোচন। রয়েছে নানা সুখস্মৃতি। কলকাতায় বহুদিন পর এসেছিলেন তিনি। মনে ছিল একরাশ আনন্দ। ফেসবুক, ইনস্টাতেও সে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছিলেন। সেই আনন্দ স্থায়ী হল না। অকালেই চলে গেলেন কেকে? এই ‘দায়’ কার?উত্তর অজানা।