বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। সেই ছবিতে মুজিবুরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেতা আরিফিন শুভ। চলতি মাসে, গত সপ্তাহেই কলকাতায় হয়ে গিয়েছে সেই ছবির প্রিমিয়ার। অন্যদিকে বাংলা ছবি এবং সিরিয়ালের পরিচিত মুখ দেবদূত ঘোষ মঞ্চে অভিনয় করছেন মুজিবুর রহমানের চরিত্রে। নাটকের নাম ‘জয় বাংলা–বঙ্গ আমার বন্ধু আমার’। ‘ভূমিসুত থিয়েটার কলকাতা’র প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে এই নাটক। নাটকের রচয়িতা সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। নির্দেশনা দিয়েছে স্বপ্নদীপ সেনগুপ্ত। বাংলাদেশের মুক্তির নেপথ্য নায়ক ছিলেন মুজিবুর। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নাটকের বেশ কিছু শো হবে গোটা ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে। কল্যানী (১৮ ডিসেম্বর), কলকাতা (তপন থিয়েটার, ২৪ ডিসেম্বর), সোনারপুর (২৬ ডিসেম্বর), বনগাঁ (২৯ ডিসেম্বর), কোচবিহার (৭ জানুয়ারি) এবং মালদায় (৪ ফেব্রুয়ারি) হবে শো।
নাটকের অভিনেতা দেবদূত জানিয়েছেন, একদিন নাকি নাটকের পরিচালক স্বপ্নদীপ সেনগুপ্ত চলে এসেছিলেন তাঁর শুটিংয়ে। শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নাটক করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এই কথা শুনে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন দেবদূতও। স্বপ্নদীপ নাকি সেদিন তাঁকে বলেছিলেন, এই নাটক দেবদূত ছাড়া হবেই না। দেবদূত বলেছেন, “ছেলেটার সাহস আছে! লড়াই হল ,শো নামল। হাজার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এই নাটক চালান যাচ্ছে। এ কম কথা নয়! ডিরেক্টর ও টিমের নিষ্ঠা, মানুষের ভালোবাসা, আশীর্বাদ ছাড়া এই নাটক চালানো সম্ভব হত না। ধন্যবাদ আপনাদের! পাশে থাকবেন!”
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন দেবদূত ঘোষ। তাঁর এবং মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক মতাদর্শ অনেকটাই আলাদা। তা হলে কেন এই নাটক করতে, সর্বোপরি মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হলেন দেবদূত। জানাতে চেয়েছিল TV9 বাংলা। দেবদূত বলেছেন…
“যাঁরা এখন রাজনীতি করতে আসেন, তাঁদের সামনে কোনও রোল মডেলকে দেখতে পান না। আমাদের পার্টিতে যেমন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আছেন। তাঁকে অনুসরণ করেই আমরা চলি। তিনি আমাদের আদর্শ। নাটকটা করার আগে আমার বারবারই মনে হয়েছিল, আত্মত্যাগী রাজনীতি করার ব্য়াপারে একটা সময় বাঙালিরা ঝাঁপিয়ে পড়তেন। সেই রাজনীতি করতে গিয়ে মুজিবও তাঁর জীবন দিয়েছিলেন। তাঁর সেই জীবনটাই সকলের সামনে আসা উচিত বলে মনে হয়েছে আমার।”