জীবনের প্রথম হিরোকে হারিয়েছে মেয়েটা। মেয়েটা জানত বাবা কলকাতায় শো করতে এসেছে। তাই হল। বাবা এল। শো করল। কিন্তু কফিন বন্দি হয়ে ফিরে গেল মুম্বই। এক কন্যার কাছে এটা যে কতখানি যন্ত্রণার, তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। বাবার মৃত্যুতে মেয়েটা কেবল কেঁদেছে আর লিখেছে চার শব্দের একটি বাক্য। বাক্য ছোট হতে পারে, কিন্তু তাতে মিশে ছিল অনেকটা আবেগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পিতৃহারা মেয়েটা লিখেছে, “তোমাকে সবসময় ভালবাসি বাবা।”
কলকাতার নজরুল মঞ্চে দু’ঘণ্টা অনুষ্ঠান করে হোটেলে ফেরেন কেকে। সেখানে অসুস্থতা অনুভব করলে মুহূর্তে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা বলেন মৃত মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে। কেকে চলে গেলেন মাত্র ৫৪ বছর বয়সে।
কলকাতায় আসার আগে নিজের ইনস্টাগ্রামে তিনি পোস্ট করে জানান, কলকাতায় আসছেন। দুটো কলেজের ফেস্টের জন্য তাঁর কলকাতায় আসা। ৩০ মে ঠাকুরপুকুর বিবেকানন্দ কলেজ আর ৩১ মে গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠানে। গান গাইলেন কিন্তু তিনি চলে গেলেন।
কেকে এখন চির ঘুমের দেশে। আবারও শোকে ডুবল গোটা দেশ। বছরের শুরু থেকেই সঙ্গীত জগতে তারকা পতনের সাক্ষী থাকছে ভারত। লতা মঙ্গেশকরকে হারানোর শোক এখনও দগদগে। তারপরই জীবনাবসান হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের, বাপ্পি লাহিড়ীর। এবার আকষ্মিক মৃত্যু গায়ক কেকে-র। খবর পাওয়া মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা শোকজ্ঞাপনে ভরতে থাকে। মধ্যরাতেই টুইট করে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানান, কেকের মৃত্যুতে তিনি শোকস্তব্ধ। মুম্বইয়ের উদ্দেশে কেকের কফিন যাওয়ার আগে কলকাতায় তাঁকে গান স্যালুট দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।