জওয়ান ছবি চলতি বছরে সব থেকে বেশি বক্স অফিসে আয় করেছে। শাহরুখ খানের কামব্যাক করার পর দ্বিতীয় ছবিতে যে ঝড় বয়ে গিয়েছে, তা যেন এক পলকে বিশ্বাসই করতে পারেনি একাংশ। অনেকেই যাঁরা শাহরুখ খানকে হারিয়ে যাওয়া তারকায় তালিকায় ফেলেছিলেন, তাঁরাই এক কথায় বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন তিনিই হলেন আসল বাজিগার। সেই ছবি গোটা বিশ্বের দর্শকদের মন কেড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে তা মুক্তিও পেয়েছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে। ছবি আমদানি শর্ত হিসেবে অর্থাৎ বাংলাদেশ একটা সময় যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতের ছবি সেখানে মুক্তি পাবে না, তারপরই দীর্ঘ বিরতির পর বেশ কিছু শর্তে ভারতের ছবি মুক্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। সেই শর্তেই মুক্তি পেয়েছিল জওয়ান। এক বছরে আনুমানিক ১০টি ছবি (ভারতের) মুক্তি পেতে পারে সেখানে।
সেই নিয়ম মেনেই মুক্তি জওয়ান ছবির। তবে কেন হঠাৎ এই ছবিকে পর্দা থেকে সরিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? না সমস্ত পর্দা থেকে নয়। ২৪ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ দশমীর দিন থেকে উৎসবের মরসুমে এই ছবিকে আংশিক প্রেক্ষাগৃহে স্থান দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু জায়গা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তা। এমনটাই নাকি নিয়ম সেখানের সরকারের। আর ঠিক সেই কারণেই এখন শো সংখ্যা কমল ছবি জওয়ান-এর। যে ছবি বিশ্বজুড়ে ১১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
প্রসঙ্গত, বলিউডের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে এভাবে তা কে কেউ ভেবেছিল? সবেমাত্র দক্ষিণই দুনিয়ার রমরমা বাজার শুরু। একশ্রেণি বলতে শুরু করেছিল ‘বলিউড তলানিতে গিয়ে পৌঁছিয়েছে’, ‘বলিউড থেকে দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে’। তাঁদের চাই নতুন মুখ নতুন হিরো। সত্যি কি তাই! বলিউড বাদশা তাঁর ম্যাজিক এবার দেখিয়ে দিলেন গোটা বিশ্বকে। কথায় বলে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, যে শাহরুখ খান ফ্লপ-এর ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন, তিনি কিনা পরপর দুই ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিলেন। বছরের শুরুতে মুক্তি পেয়েছিল ‘পাঠান’। যা প্রথম হিন্দি ছবি, হাজার কোটি টাকা স্পর্শ করেছিল। গড়েছিল ইতিহাস।