খাতিনি বেশ রাশভারী মানুষ। নানা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কখনও বয়স্ক এবং সম্ভ্রান্ত রবীন্দ্র গবেষক হয়েছেন, তো কখনও দুঁদে খলনায়ক। কেবল তাই-ই নয়, অভিমানী বাবা-কাকার চরিত্রেও অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন। তিনি অনেকেরই প্রিয় অভিনেতা। এই দীপঙ্কর দের জীবন বেশ রঙিনও। অনেক বেশি বয়সে এসে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা অভিনেত্রী দোলন রায়কে বিয়ে করেছেন দীপঙ্কর। কিন্তু আপনি কি জানেন এই দীপঙ্করের জীবনের একটি অধ্যায় এমনও ছিল যখন তাঁকে কলকাতায় নাম করা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
লেখাপড়ায় বরাবরই মেধাবী দীপঙ্কর ক্লাস টুয়েলভ পাশ করে সোজা গিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজে। কিন্তু মাত্র একটি বছর সেখানে তিনি লেখাপড়া করতে পেরেছিলেন। একটি টকশোতে এসে দীপঙ্কর বলেছিলেন যে, সেই সময় প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর সহপাঠীদের অনেকেই ছিলেন মহিলা। তাঁদের নিয়ে কলেজ সংলগ্ন কফি হাউজ়ে প্রায়ই খেতে চলে যেতেন দীপঙ্কর। এ সব করেই তাঁর একটা গোটা বছর কেটে যায়। লেখাপড়ায় মন উঠে গিয়েছিল তাঁর। ভয়ানক খারাপ রেজ়াল্ট হয় প্রথম বর্ষে। অঙ্কে ফেল করেছিলেন। সেই সঙ্গে ফেল করেছিলেন ইন্ডিয়ান ইকোনমিক্সের মতো বিষয়তেও। ব্যস, এই ঘটনার পর দীপঙ্করকে টিসি দেওয়া হয়। তিনি বলেছিলেন, “আমাকে প্রেসিডেন্সি থেকে দূর-দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই সময়।”
তারপর কী লেখাপড়া এক্কেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দীপঙ্করের? না, তিনি ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ৫ বছর লেখাপড়া করেছেন। কিন্তু এখনও যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সির মধ্যে বাছাই করতে বললে আজও দীপঙ্কর বেছে নেন সেই প্রেসিডেন্সিকেই।
সত্যজিৎ রায়ের অতি প্রিয় অভিনেতা ছিলেন দীপঙ্কর। তাঁরই আবিষ্কার ছিলেন অভিনেতা। সত্যজিতের ‘সীমাবদ্ধ’ ছবিতে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেটি ছিল ১৯৭১ সাল। এ ছাড়াও, সত্যজিতেরই ‘আগন্তুক’, ‘শাখা প্রশাখা’, ‘গণশত্রু’তে অভিনয় করেছিলন দীপঙ্কর।