‘তোকে কী করে ছবিতে নেব?’, তিলোত্তমা কাণ্ডের এক বছরে বিস্ফোরক দেবলীনা
দেবলীনা TV9 বাংলাকে জানালেন, ''ডাক্তারভাইদের সঙ্গে এক বছর ধরে আছি। এবারও ওঁদের ডাকে মশাল মিছিলে গিয়েছিলাম। এরকম একটা জটিল বিষয়ে ন্যায় যে ৩৬৫ দিনে পাওয়া যাবে না, সেটা জানতাম। সেটা পাওয়া গেলে আন্দোলনের দরকারই পড়ত না। গত বছর পুজোর সময়ে ডাক্তারদের সঙ্গে ছিলাম। কোনও কাজ করিনি। সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি শিল্পীদের উপার্জনের সময়। এটা শিল্পীদের পেশার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুজো বাদ দিয়ে গত বছর যা ইভেন্ট ছিল আমার, সবই বাতিল হয়ে গিয়েছিল।

তিলোত্তমা কাণ্ডের এক বছর। লাগাতার প্রতিবাদ করেছেন দেবলীনা। তাঁর দাবি ক্রমাগত কাজ হারিয়েছেন তার জন্য। দেবলীনা TV9 বাংলাকে জানালেন, ”ডাক্তারভাইদের সঙ্গে এক বছর ধরে আছি। এবারও ওঁদের ডাকে মশাল মিছিলে গিয়েছিলাম। এরকম একটা জটিল বিষয়ে ন্যায় যে ৩৬৫ দিনে পাওয়া যাবে না, সেটা জানতাম। সেটা পাওয়া গেলে আন্দোলনের দরকারই পড়ত না। গত বছর পুজোর সময়ে ডাক্তারদের সঙ্গে ছিলাম। কোনও কাজ করিনি। সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি শিল্পীদের উপার্জনের সময়। এটা শিল্পীদের পেশার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুজো বাদ দিয়ে গত বছর যা ইভেন্ট ছিল আমার, সবই বাতিল হয়ে গিয়েছিল। যাঁদের কাছে পরপর দু’ বার গিয়েছিলাম, তিন নম্বর বছর যাওয়ার ছিল, তাঁরাও ফোন করে ক্ষমা চান। এক জায়গায়, আমার নাম করতেই ঝামেলা হয়। আর এক জায়গায় আয়োজক ভয় পান, বলেন, তাঁকে তো কলকাতায় কাজ করতে হবে! অনেকেই দাবি করেন প্রমাণ করুন। কিন্তু ওঁরা আমাকে অনুরোধ করেছিলেন, নাম প্রকাশ না করতে।”
দেবলীনা জানালেন, বছর ঘুরলেও পরিস্থিতি বদলায়নি। তাঁর দাবি, ”এই বছরও দু’ টো খুঁটিপুজো এল। তারপর বাতিল হল। তাঁরা জানালেন, কী কারণে সিদ্ধান্ত বদল করতে হল। আমি আগের বছরের ছবিই এই বছর দেখতে পাচ্ছি। টালিগঞ্জের খুব বিখ্যাত একজন পরিচালক, তিনি মহিলা, TV9 বাংলার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেখা হয় তাঁর সঙ্গে। সেখানে রেড কার্পেটে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ”দেবু তোকে কী করে ছবিতে নেব? আমাকে তো ছবি রিলিজ করতে হবে।” এখন প্রশ্ন হলো, আমাকে কি ভয় পেতে হবে? যদি ভাবি আমাকে উপার্জন তো করতেই হবে… কিন্তু ভয় পেতে আমার খুব কষ্ট হয়। রাতের ঘুম নষ্ট হয়। আয়নার সামনে দাঁড়াতে অসুবিধা হয়। তাই প্রয়োজন হলে, অন্য কোনওভাবে রুজিরুটির ব্যবস্থা করব। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। প্রকৃতির দয়ায় আমার হাত-পা-মাথা এখনও ঠিকভাবে চলছে। কিন্তু উপার্জন করতে হলেই জীবনযাপনে কিছু নিয়ম চলে আসবে, সেটা আমার জন্য খুব কষ্টদায়ক।”
দেবলীনা যোগ করলেন, ”আরও একটা কথা। আমাদের কিছু সহযোদ্ধারও বহু শো বাতিল হয়েছে। হয়তো কিছু পরিচিত মুখের কথা আমরা বেশি করে জানতে পারি। আমি আমজনতারই একজন। আমজনতা, যাঁরা প্রতিবাদের পথ নিয়েছেন, তাঁদের যে ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে, আমাকেও হতে হয়েছে।”
