‘কী যায় আসে তাতে!’ একপক্ষ সম্পর্ক নিয়ে কী বলেছিলেন দেবলীনা?
প্রিয়জুটি আর একসঙ্গে নেই। মন খারাপ? কষ্ট? তাঁর উত্তর, “আমার কাছে দুটো চয়েজ আছে। আমাদের মন খারাপ হয় স্মৃতির জন্য। স্মৃতি তো আঁকড়ে ধরবোই। কিন্তু সেই স্মৃতিকেই আঁকড়ে ধরে যদি তার থেকেও ভাল স্মৃতি তৈরি করি, সেই চয়েজও তো আমার রয়েছে।”

বরাবরই দেবলীনা দত্ত বাঁচেন নিজের শর্তে। ‘জোশ টক’-ইউটিউব চ্যানেলে নিজের জীবনের সেই গোপন সত্যি সামনে আনতে তাই ভীত নন তিনি। জীবনে নেওয়া নানা সিদ্ধান্ত নিয়েও আপসোস নেই তাঁর। ন’ বছর বয়সে বাবাকে হারানো থেকে বিয়ের মন্ডপে বর না আসা— দেবলীনার জার্নি যেন টলিউডের চিত্রনাট্যকেও হার মানায়।
কঠিন চোয়াল, চোখ বলে দেয় অনেক কিছু… দেবলীনা বলতে শুরু করলেন, “… বিয়ের পিঁড়িতে বউ সেজে বসেছিলাম। লোকজন আসছেন। খাচ্ছেন… চলে যাচ্ছেন। বর এল না…”। বারবার হবু স্বামীর ফোনে ফোন করতেও সাড়া মেলেনি। ফোন বন্ধ, পরিবারেরও ফোন বন্ধ। দেবলীনা সেদিন চাইলেই ভেঙে পড়তে পারতেন, অথবা প্রতিহিংসার খেলায় মেতে উঠতে পারতেন হয়তো। কোনওটিই তিনি করেননি। সেই সময় যে গুটিকয়েক বন্ধুকে পাশে পেয়েছিলেন অভিনেত্রী, তথাগত তাঁদের মধ্যে একজন। সেই তথাগতের সঙ্গে আজ তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক নেই বললেই চলে। এক ছাদের তলায় থাকেনও না তাঁরা। পরিচালক-অভিনেতার নাম জড়িয়েছে অন্য এক অভিনেত্রীর সঙ্গে। না, তথাগতকেও দোষারোপ করতে চাননি দেবলীনা। চান না তাঁকে নিয়ে খারাপ কথা বলতেও। বরং যে নয় বছর একসঙ্গে কাটিয়েছেন তাঁরা তা দেবলীনার জীবনে সেরা ৯ বছর বলেই ভাবতে চান তিনি। বললেন, “আমাদের জুটিটাকে দর্শক যতটা পছন্দ করতেন আমিও ঠিক ততটাই পছন্দ করতাম। ওই ৯ বছর আমার জীবনে কাটান শ্রেষ্ঠ ন’টা বছর বলে আমি মনে করি।”
প্রিয়জুটি আর একসঙ্গে নেই। মন খারাপ? কষ্ট? তাঁর উত্তর, “আমার কাছে দুটো চয়েজ আছে। আমাদের মন খারাপ হয় স্মৃতির জন্য। স্মৃতি তো আঁকড়ে ধরবোই। কিন্তু সেই স্মৃতিকেই আঁকড়ে ধরে যদি তার থেকেও ভাল স্মৃতি তৈরি করি, সেই চয়েজও তো আমার রয়েছে।”
দেবলীনা কি এতটা প্র্যাকটিক্যাল? আবেগ-ভালবাসা থেকে বহু হাত দূরে? জবাব দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আপনি যে মানুষটাকে ভালবাসেন, তাঁকে বোঝানোর দায়ই নেই আপনার। আপনার ভালবাসা তো শুধুই আপনার। অন্য মানুষটা যদি নাও বোঝে কী যায় আসে তাতে?” বললেন ঠিকই, তবু বলতে গিয়েও গলা কি হাল্কা কেঁপে গেল তাঁর?
