‘…আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে’, খাদান আদপে কেমন লাগল? রাখঢাক না করেই জানালেন সৃজিত
Khaadan: ছবি মুক্তি পেতে উত্তেজনায় বিন্দুমাত্র খামতি দেখা গেল না। বরং প্রশংসায় ভরে উঠছে নেটপাড়া। সেই তালিকা থেকে বাদ থাকলেন না পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় খাদান দেখে খোলা মনে লিখে ফেললেন রিভিউ।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে খাদান। সুপারস্টার দেবের প্রত্যাবর্তন বটে। যে অভিনেতা নিজেকে প্রমাণ করতে, দর্শকদের স্বাদ বদল করতে অন্য ঘরানার ছবিকে বেছে নিয়েছিলেন গত কয়েকবছরে, তিনিই এবার ফিরলেন আগুনের গোলা হয়ে। বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন অভিনেতা। আবারও সেই পুরোনো লুক, পুরোনো ছন্দ, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল ছবির ট্রেলার। ছবি মুক্তি পেতে উত্তেজনায় বিন্দুমাত্র খামতি দেখা গেল না। বরং প্রশংসায় ভরে উঠছে নেটপাড়া। সেই তালিকা থেকে বাদ থাকলেন না পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় খাদান দেখে খোলা মনে লিখে ফেললেন রিভিউ।
কেমন লেখেছে তাঁর খাদান? এক দীর্ঘ পোস্টের কিছু অংশে পরিচালক লিখলেন–
‘একটা গুরুত্বপূর্ণ ছবি সবসময় ভালভাবে বানানো হবে যে সেটা নাও হতে পারে। বাংলা ছবির জন্য খাদান ছবিটি যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা কমন সেন্স থাকলেই বোঝা যাবে। তবে ছবিটি ভীষণ ভালভাবে বানানো হয়েছে। এটা ঠিক যে যিশু সেনগুপ্তর বাঙাল উচ্চারণটা সবসময় সব জায়গায় এক ছিল না। এটাও ঠিক যে নিউটাউনের তৃতীয় সূত্রকে উদযাপন করতে গিয়ে গ্রাভিটির অন্যান্য সূত্রকে উপেক্ষা করা যায় না। কোলিয়ারির অন্যান্য নিয়ন, অব্যবস্থা বা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে মন চেয়েছে। কিন্তু তারপরও এই ছোটখাটো জিনিসগুলো ছাড়া খাদান আমার দারুন লেগেছে। ভাষা, উচ্চারণকে আঞ্চলিক করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। পোশাক, রাজনীতি, খাবার, ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। লার্জার দ্যান লাইফ ক্যানভাস যেন, একাধিক আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি করা হয়েছে। দারুনভাবে এডিট করা হয়েছে, সিকোয়েন্স থেকে সিকোয়েন্স দ্রুত সরেছে। দর্শকদের স্পুনফিড না করিয়ে গল্প বলার ক্ষেত্রে তাঁদের অংশীদার করা হয়েছে। কবি সুকান্তর উল্লেখ থেকে উন্নতির সঙ্গে কেন পরিবেশের দিকে নজর দেওয়া জরুরি সেটাও বোঝানো হয়েছে।’