AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আর্থিক সঙ্কট, টাকা ধার করছেন পরিচালক বিবেক…সত্যিটা স্বীকার করলেন

চলচ্চিত্র নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রী সম্প্রতি তাঁর ট্রিলজির তৃতীয় কিস্তি 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' তৈরি করেছেন। এই ছবিটি প্রযোজনার জন্য তিনি 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' থেকে উপার্জিত সমস্ত অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, এমনকী তার চেয়েও বেশি, এমনই দাবি পরিচালকের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবেক জানান, তিনি বর্তমানে আর্থিক সংকটে রয়েছেন এবং ছবির প্রচারের জন্য দিল্লি যাওয়ার খরচও ধার করে যেতে হয়েছে।

আর্থিক সঙ্কট, টাকা ধার করছেন পরিচালক বিবেক...সত্যিটা স্বীকার করলেন
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2025 | 7:57 AM
Share

চলচ্চিত্র নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রী সম্প্রতি তাঁর ট্রিলজির তৃতীয় কিস্তি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ তৈরি করেছেন। এই ছবিটি প্রযোজনার জন্য তিনি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ থেকে উপার্জিত সমস্ত অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, এমনকী তার চেয়েও বেশি, এমনই দাবি পরিচালকের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবেক জানান, তিনি বর্তমানে আর্থিক সংকটে রয়েছেন এবং ছবির প্রচারের জন্য দিল্লি যাওয়ার খরচও ধার করে যেতে হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে টাকা। কেউই আমাদের ছবি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সমর্থন করে না। কাশ্মীর ফাইলস থেকে যত টাকা পেয়েছিলাম, সবটাই আমরা বেঙ্গল ফাইলস তৈরিতে খরচ করেছি। এর পর আমার কী হবে, আমি জানি না। আমাদের লক্ষ্য ১০০ কোটির ছবি বানানো, কিন্তু হাতে খুব অল্প টাকা থাকে। তাই প্রতিটা পয়সা হিসেব করে খরচ করতে হয়, এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুটিং শেষ করতে হয়।”

তিনি আরও বলেন, “যখন থেকে আমি আমার ছবির মাধ্যমে অস্বস্তিকর সত্য বলার চেষ্টা শুরু করেছি, তখন থেকেই সংগ্রাম করছি। বুদ্ধা ইন এ ট্র্যাফিক জ্যাম, তাশখন্দ ফাইলস, কাশ্মীর ফাইলস—সব ছবির সময়ই লড়াই করতে হয়েছে। এখনও টাকা নিয়ে লড়াই করছি। দিল্লি গিয়ে ছবির মার্কেটিং করার জন্য কীভাবে টাকা ধার নেওয়া যায়, তা নিয়ে এখনও আলোচনা করেছি।”

‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ এর বক্স অফিসই নির্ধারণ করবে তার ভবিষ্যৎ, এমন দাবি ছিল বিবেকের। তিনি বলেছিলেন, “আমার দু’টো অপশন আছে—এই ছবিটা যদি একটু হলেও টাকা ফেরত দিতে পারে, তাহলে আমি এর সিক্যুয়েল বানাব।” কাশ্মীর ফাইলস বানাতে আমাদের খরচ হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা। সেখান থেকে আমরা ৩০ কোটি টাকা আয় করি। এই টাকা আমরা বেঙ্গল ফাইলস-এ বিনিয়োগ করেছি। এছাড়াও কিছু টাকা ধার করতে হয়েছে, যেটা এখনও শোধ করা হয়নি।”

কিন্তু বক্স অফিসে একেবারেই ফ্লপ এই ছবি। ৫ই সেপ্টেম্বর মুক্তির দিন, বেঙ্গল ফাইলস প্রায় ১১০২টি শো নিয়ে ১.৭৫ কোটি টাকা আয় করে। মুক্তির দ্বিতীয় দিনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছবির আয় ছিল মাত্র ১ কোটি টাকা। মুক্তির দিনে ছবির মোট দর্শক উপস্থিতি ছিল ২১.২৪%। রবিবার পর্যন্ত যা ট্রেন্ড, তাতে এই ছবি হিট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।