চৈতি ক্ষমা করবেন না কোনওদিন, বললেন, ‘পুড়তে-পুড়তে…’

Chaiti Ghosal: কোন ঘটনার কথা অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল বলেছিলেন, জানেন? অনেক বছর আগে একবার এক অনাচার হয় চৈতির সঙ্গে। বিষয়টিতে বেশ আঘাত পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই দগদগে ঘায়ের ব্যথা আজও অনুভব করতে পারেন চৈতি। কী ঘটেছিল?

চৈতি ক্ষমা করবেন না কোনওদিন, বললেন, 'পুড়তে-পুড়তে...'
চৈতি ঘোষাল।
Follow Us:
| Updated on: Apr 19, 2024 | 1:20 PM

স্নেহা সেনগুপ্ত

ক্ষমা করাই পরম ধর্ম। এমন কথা ছোট থেকেই শুনে বড় হয় মানুষ। কিন্তু সবকিছুর কি ক্ষমা হয়? কিছু ঘটনা এমনও থাকে, যার কারণে কোনও পরিস্থিতি কিংবা কোনও ব্যক্তিকে ক্ষমাই করা যায় না। এমন ঘটনা প্রত্যেক মানুষের জীবনে রয়েছে। বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনেও সে রকম নানা ঘটনা রয়েছে। যে ঘটনাগুলিকে হয়তো ভুলে থাকতে চেষ্টা করেন তাঁরাও। TV9 বাংলায় সম্প্রতি শুরু হয়েছে সে রকমই ‘ক্ষমা করিনি’ মুহূর্ত। আজকের অতিথি অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল। তাঁর জীবনের ক্ষমা করিনি মুহূর্ত মর্মস্পর্শী।

এই খবরটিও পড়ুন

বহু ছবিতে এবং নাটকে বাদ পড়েছিলেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল। সেগুলোর জন্য অভিনেত্রী প্রস্তুত ছিলেন না। চৈতি সাফ জানিয়েছিলেন, ঘটনাগুলো না ঘটলেই বোধহয় ভাল হত। বলেছেন, “এগুলো না ঘটলে হয়তো আমি আজ চৈতি ঘোষাল হতাম না। পুড়ে গিয়ে সোনা হয় না কেউ। কিন্তু পুড়তে-পুড়তে সোনা হওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে।”

এরপর এমন একটি ঘটনার কথা চৈতি জানালেন, যা শুনলে তাজ্জব বনে যেতে পারেন যে কেউ! চৈতি জানিয়েছেন ‘রক্তকরবী’র কথা। সকলেই জানেন ২৫ বছর ধরে প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব গৌতম হালদারের নির্দেশনায় ‘রক্তকরবী’র নন্দিনী হয়ে মঞ্চ মাতিয়েছেন চৈতি। তাঁর মঞ্চাভিনয়ের শুরুতে সেই নন্দিনীর চরিত্রটি তাঁর থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। মনে তীব্র ক্ষোভ চেপে রেখে অভিনেত্রী TV9 বাংলাকে বলেছেন, “একটা ঘটনা আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তখন খুবই ছোট ছিলাম আমি। ১৫ বছর হবে। নাট্যব্যক্তিত্ব তৃপ্তি মিত্রর নির্দেশনায় আমাকে ‘রক্তকরবী’র নন্দিনী করা হয়। নিজেকে নন্দিনী ভাবতেই শুরু করে দিয়েছিলাম ওই ছোট বয়সেই। তারপর নানা কারণে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল সেই চরিত্রটা থেকে।”

কথা বলতে-বলতে চোখের ধরে রাখতে পারছিলেন না অপরাজিতা। বললেন, “চোখে জল নিয়ে আমাকে চলে আসতে হয়েছিল। সেই সময় আমি অপর্ণা সেনের ‘পরমা’ ছবিতে পরমা (রাখি গুলজ়ার)-র মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছিলাম। বুঝতেই পারছেন কতখানি ছোট ছিলাম আমি। আমি ছোট, সেই অজুহাতে আমাকে বাদ দেওয়া হয় ‘রক্তকরবী’ থেকে। হৃদয় দুমরে গিয়েছিল আমার। যাঁকে সেই সময় নন্দিনীর চরিত্রে নেওয়া হয়, তিনি তেমন সাড়া ফেলতে পারেননি। নাটকটা দাঁড়ায়নি। আমি তারপর টানা ২৫ বছর নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম প্রয়াত গৌতম হালদারের নির্দেশনায়। সেটা একটা কাল্ট হয়ে গিয়েছিল… তবে কিছু হারিয়ে কিন্তু কিছু পেয়েওছি… এটাও কিন্তু ঠিক। কিন্তু সেদিন বিশ্রী অজুহাত দেখিয়ে যেভাবে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, সেই ক্ষোভ আমি ভুলবই না। ক্ষমা করব না।”