কাটোয়ার মেয়ে অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। ছোট্ট শহর থেকে এসেও আজ তিনি প্রতিষ্ঠিত। সেখানকারই আরও এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের অকাল প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। খবরটা যেন কিছুতেই বিশ্বাসই হচ্ছে না তাঁর। দ্বাদশ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী তৃষিতা চক্রবর্তী। মাস পাঁচেক আগেই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয় তাঁর। মেয়েটি থাকতেন তাঁর মায়ের সঙ্গেই। যদিও বাবার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তাঁর। নিত্য টানাপড়েন কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে গত সোমবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। মৃত তরুণীর বাবার অভিযোগ প্রাক্তন স্ত্রীর অত্যাচারের কারণেই এই চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন তৃষিতা।
পড়াশোনায় মেধাবী বলেই এলাকায় সুনাম ছিল তাঁর। পড়তেন বিজ্ঞান নিয়ে। পাশাপাশি নাচও করতেন পুরোদমে। সেই সূত্রেই আলাপ শ্রুতির সঙ্গে। এ দিন সেই কথাই শেয়ার করে শ্রুতি লেখেন, ” ভাবতে পারছিনা তুই আর নেই! অনেক বড়ো হতে পারতিস! তোকে বলেও ছিলাম জাজমেন্ট করতে গিয়ে তোর নাচ দেখে! যারা তোকে হারাল তারা এখন বুঝবে কি হারাল! যেখানে গেলি সেখানে ভাল থাকা যায় কিনা জানিনা! তবে কথা বলতে পারতিস একবার!”
তৃষিতার বয়স হয়েছিল মাত্র ১৮ বছর। স্বল্পভাষী, গুণী মেয়ের এই অকালমৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঠিক কী কারণে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিল তৃষিতা তা যেন কিছুতেই বুঝতে উঠতে পারছেন না তাঁর কাছের মানুষেরা।