সাইবার প্রতারণার শিকার এবার শান্তনু মাহেশ্বরী। নৃত্যশিল্পী তথা অভিনেতা, এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ড থেকে টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। গত এক বছরে এমন বহু খবর উঠে এসেছে, যেখানে গ্রাহকের অজান্তেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বহু টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র। বিভিন্ন ভুয়ো ফোন মারফৎ ব্যাঙ্কের তথ্য জানতে চেয়ে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ বারবার সামনে উঠে এলেও এবার আর তেমনটা ঘটল না। কোনও তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার করেননি শান্তনু। কোনও ফোন কিংবা আসেনি কোনও ওটিপি। তবে কী হয়েছে অভিনেতার সঙ্গে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় শান্তনু জানালেন, ব্যাঙ্ক থেকে তাঁর পাঁচ লাখ টাকা উধাও। তাঁর নামে একটি বিকল্প কার্ড তৈরি করা হয়। ব্যাঙ্কে থাকা তাঁর যাবতীয় তথ্য পাল্টে যায় তাঁর অজান্তেই। তাঁর আইডি, তাঁর ফোন নম্বর, তাঁর ঠিকানা প্রভৃতি। সেই কার্ড থেকেই ৫ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি অভিনেতার।
টাইমস নাউ-কে শান্তনু বলেছেন, প্রতারকেরা আমার সেই কার্ড থেকে ৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে। পুরোটাই এতটা সতর্কভাবে করেছে যে বোঝাই যায়নি। এই ধরনের প্রতারণা হলে, আমরা অনেকেই বুঝে উঠতে পারি না কী করব। আমি সমানে কাস্টমার সার্ভিসে ফোন করতে থাকি। তবে প্রতিবারই তারা আমায় হোল্ড ফেলে অপেক্ষা করিয়েছেন। সাইবার বিভাগেও অভিযোগ জানাতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। ওরা আমার ট্রানজাগশন আইডি চাওয়া হয়, যেটা খুব স্বাভাবিকভাবেই আমার কাছে ছিল না। আমি কাস্টমার কেয়ারেও চেষ্টা করতে থাকি, তারাও দুবার আমার ফোন রেখে দেয়। কখনও কখনও ৪৫ মিনিট লেগে যায়। এছাড়াও যদি আপনি তাঁদের সঙ্গে অফিসে দেখা করতে যান, সেখানেও দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেখা হয়। সবটা ভীষণ ক্লান্তিকর।
প্রসঙ্গত, তিনি একটি রেস্তোরাঁতে বিল দেওয়ার সময় লক্ষ্য করেন তাঁর অ্যাকাউন্ডে টাকা নেই। তারপরই সবটা সামনে আসে। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এরই মাঝে ব্যাঙ্ক থেকে তাঁর কাছে মেইল আসে তাঁকে সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। যেটা নিয়ে বেজায় চিন্তায় এখন অভিনেতা।