সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় রবিবার মুম্বইয়ের থানে এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে এক ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস পাঁচেক আগেই সে ভারতে ঢোকে। শুধু তাই নয়, পুলিশ জানিয়েছে, ” সে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তার কাছে কোনও ভারতীয় পরিচয়পত্র নেই। আমাদের সন্দেহ যে সে বাংলাদেশি নাগরিক। তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট অ্যাক্টে মামলা করা হচ্ছে।”
তা কীভাবে পুলিশের জালে এল অভিযুক্ত?
মুম্বইয়ের থানে এলাকার হিরানন্দানি এস্টেটের টিসিএসের কল সেন্টারের ঠিক পিছনে বিশাল এক জঙ্গল। সেই জঙ্গলেই গা ঢাকা দিয়েছিল এই ব্যক্তি। পুলিশি জেরার সে জানিয়েছে, জঙ্গলে ঢুকে প্রথমে গাছপালার আড়ালেই লুকিয়ে ছিলেন। তবে দিন বাড়লে ক্লান্তিতে তার ঘুম পায়। আর তখনই পুলিশকে ধোঁকা দিতে জঙ্গলের শুকনো পাতায় গোটা শরীর ঢেকে নেন। আর সেই শুকনো পাতাকেই চাদর বানিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে শুকনো পাতার চাদরও শেষমেশ বাঁচাতে পারেনি সইফের হামলাকারীকে। ঘুমন্ত চোখেই পুলিশের জালে পড়ে যায়।
বুধবার মধ্যরাতে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হন সইফ আলি খান। তাঁর উপর আক্রমণ করেন এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। ছুরি দিয়ে বলিউড তারকার উপর আঘাত করেন সেই ব্যক্তি। লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সইফ আলি খানকে। ৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন সইফ। আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে। ধীরে ধীরে ক্ষতস্থান শুকোচ্ছে।
শনিবার পুলিশের কাছে বয়ান রেকর্ড করার সময় সেই রাতের ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন সইফপত্নী করিনা কাপুর খান। অভিনেত্রী বলেন, “আক্রমণকারী মারাত্মক হিংস্র। নৃশংসভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সইফের উপরে। এলোপাথাড়ি কোপাচ্ছিল।” করিনা আরও জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই এখনও খুবই দুশ্চিন্তায়। ছোট ছেলে জেহের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ রয়েছে।