উত্তমকুমার কখনও কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতেন না, কোন বিশেষ ব্যবস্থা থাকত তাঁর জন্য?

Uttam Kumar: ভোটের দিন বাড়ি থেকে একবারের জন্যেও ভোট কেন্দ্রে যেতেন না। তা হলে কি মহানায়ক ভোটটাই দিতেন না? দিতেন। তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকত। এ ব্যাপারে TV9 বাংলাকে কি জানালেন মহানায়ক উত্তমকুমারের নাতি অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়?

উত্তমকুমার কখনও কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতেন না, কোন বিশেষ ব্যবস্থা থাকত তাঁর জন্য?
উত্তমকুমার।
Follow Us:
| Updated on: Apr 23, 2024 | 4:23 PM

তিনি বাড়ির বাইরে পা রাখলে জনসমুদ্র নেমে আসত। স্বেচ্ছায় কারও সামনে আসতে চাইতেন না মহানায়ক উত্তমকুমার। একবার অভিনেতা-চিকিৎসক শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে উত্তমকুমার বলেছিলেন, “গাড়ি থেকে বেরিয়েছিলে কেন পেট্রল পাম্পে? তুমি না রুপোলি পর্দার মানুষ। এত বাইরে বের হলে আর ক্রেজ় থাকবে।” যিনি নিজে এই কথা বিশ্বাস করতেন, তিনি নিজেও কখনও জনসমক্ষে বের হতেন না। কিন্তু ভোট? জনতন্ত্রের এই উৎসবে সকলকেই বের হতে হয়। ভোট কেন্দ্রের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের নাগরিকত্বের সাক্ষ্য রাখতে হয়। জানলে অবাক হবেন, মহানায়ক উত্তমকুমারকে কিন্তু কোনওদিনও ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে হয়নি। কেবল তাই নয়, এইদিন বাড়ি থেকে একবারের জন্যেও ভোট কেন্দ্রে যেতেন না। তা হলে কি মহানায়ক ভোটটাই দিতেন না? দিতেন। তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকত। এ ব্যাপারে TV9 বাংলাকে কি জানালেন মহানায়ক উত্তমকুমারের নাতি অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়?

ঠাকুরদা উত্তমকুমার চট্টোপাধ্যায়কে সামনাসামনি দেখার সৌভাগ্য কোনওদিনই হয়নি গৌরবের। তাঁর জন্মের কিছু বছর আগেই গত হয়েছিলেন মহানায়ক। গৌরব বলেছেন, “আমার জন্মের অনেক আগেই ঠাকুরদা উত্তমকুমার মারা গিয়েছিলেন। আমি তাঁকে নিজের চোখে দেখিনি কোনওকালেই। কিন্তু তাঁর সম্পর্কে অনেক গল্পই শুনেছি বাবা (গৌতম চট্টোপাধ্যায়) এবং পরিবারের অন্যান্যদের থেকে। তাঁরাই আমাকে বলেছেন, আমার ঠাকুরদা নাকি ভোট দিতে যেতেন না। তিনি বাড়িতেই ভোট দিতেন। এবং তাঁর ভোটটা খামে ভরে নিয়ে গিয়ে জমা দেওয়া হত।”

এই খবরটিও পড়ুন

অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে শাহরুখ খান–প্রত্যেক কিংবদন্তিই ভোট কেন্দ্রে নিজে গিয়েই ভোট দেন। সেই ছবি তাঁরা শেয়ারও করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে উত্তমকুমারের বেলায় এই ব্যতিক্রম ছিল কেন? তিনি ছিলেন পোর্ট ট্রাস্টের চাকুরিজীবী মানুষ। সরকারী চাকরি করতেন। অনেক সময় সরকারী চাকুরিজীবীরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেন। বিশেষ করে তাঁরা, যাঁরা ভোটের ডিউটি করেন। কিন্তু শোনা যায়, পুরোদমে অভিনয় করতে গিয়ে পোর্ট ট্রাস্টের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন উত্তম। তাও কেন তিনি বাড়িতে বসেই ভোট দিতেন? এ প্রসঙ্গে গৌরব বলেছিলেন, “আমার ঠাকুরদা তো সশরীরে লোকের সামনে আসতেন না। তাঁকে সামনে দেখলেই উত্তাল হয়ে উঠতেন মানুষ। প্রচুর ভিড় জমত। বিশৃঙ্খলা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ভোট কেন্দ্রে ক্রাউড (ভিড়) ম্যানেজমেন্টে সমস্যা হতে পারে বলেই আমার ঠাকুরদার বাড়িতে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল তৎকালীন সরকার।”