‘ঝাঁপিয়ে পড়ে জামা খোলার চেষ্টা’, হোটেলের কদর্য অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্ফোরক ইন্দ্রাণী

Indrani Halder: 'কাস্টিং কাউচ'--- ফিল্মি দুনিয়ার অতি পরিচিত এক শব্দবন্ধ। তা নিয়ে আলোচনাও কম নয়। কাস্টিং কাউচ যে আছে তা নিয়ে বারেবারেই সরব হয়েছেন নানা অভিনেতা-অভিনেত্রী। এবার এই নিয়েই মারাত্মক বিবৃতি অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। মাত্র কুড়ি বছর বয়সে এক বিখ্যাত প্রযোজক তাঁর সঙ্গে যা করতে চেয়েছিলেন তা ভাবলে আজও গা হাত-পা যেন ঠাণ্ডা হয়ে যায় তাঁর।

'ঝাঁপিয়ে পড়ে জামা খোলার চেষ্টা', হোটেলের কদর্য অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্ফোরক ইন্দ্রাণী
ইন্দ্রাণী হালদার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2024 | 11:03 PM

‘কাস্টিং কাউচ’— ফিল্মি দুনিয়ার অতি পরিচিত এক শব্দবন্ধ। তা নিয়ে আলোচনাও কম নয়। কাস্টিং কাউচ যে আছে তা নিয়ে বারেবারেই সরব হয়েছেন নানা অভিনেতা-অভিনেত্রী। এবার এই নিয়েই মারাত্মক বিবৃতি অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। মাত্র কুড়ি বছর বয়সে এক বিখ্যাত প্রযোজক তাঁর সঙ্গে যা করতে চেয়েছিলেন তা ভাবলে আজও গা হাত-পা যেন ঠাণ্ডা হয়ে যায় তাঁর।

ইন্দ্রাণীর কথায়, “তখন আমার কুড়ি বছর বয়স। বম্বেতে ওই ছবির শুটিং হয়েছিল। প্রযোজক সেখানকার। প্রথম পর্বে আমার মা গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় পর্বে আমার বাবার যাওয়ার কথা। যেদিন যাব সেদিন সকালবেলা আমার ফ্লাইটের টিকিট কাটা হল। বাবার ফ্লাইটের টিকিটটা বিকেলে কাটা হল। আমি বুঝতে পারলাম না কেন! প্রথম বার যখন গিয়েছিলাম আমাকে রাখা হয় সান অ্যান্ড স্যান্ডের ফাইভ স্টার হোটেলে। সেবার যখন গেলাম তখন আমাকে নিয়ে যাওয়া হল লিঙ্কিং রোডের একটা হোটেলে।” অভিনেত্রী জানান, তিনি পৌঁছনো মাত্রই তাঁর কাছে প্রযোজকের ফোন এল যে তিনি আসছেন। ইঙ্গিতটা খানিক হলেও বুঝতে পেরেছিলেন ইন্দ্রাণী। তিনি ফোন করেছিলেন পরিচালককে। তিনি অভয় দিতেই দরজায় বেল। প্রবেশ করেন সেই প্রযোজক। ইন্দ্রাণীর কথায়, “ঘরে ঢুকেই আমার হাত ধরে টানতে শুরু করলেন। আমাকে রীতিমতো জোর করতে লাগলেন। আমি ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছি। উনি আমাকে বলে যাচ্ছেন, ‘বড় বড় নায়িকা আমার পায়ের তলায় থাকে।’ কিন্তু সে ছাড়বেই না। সে জোর করেই যাচ্ছে। আমি শুধু ঠাকুরকে ডাকছি। আমি কি আজকে ধর্ষিত হব? উনি তখনও কিছু করেননি। নিজের জামাকাপড় খুলছেন সবে।”

আর ঠিক সেই সময়েই ঘটে যায় এক ঘটনা। পরিচালকের ফোন বেজে ওঠে। ফোন আসে তাঁর স্ত্রীর। ব্যস আর দেরি করেননি ইন্দ্রাণী। দৌড়ে গিয়ে খুলে দেন ঘরের দরজা। শুরু করেন কাশতে। প্রযোজক হাতে ইশারায় বারণ করলেও সেই কথা কানেও নেন না তিনি। ইন্দ্রাণীর কাশি শুনতে পান প্রযোজকের স্ত্রী। রক্ষা পান ইন্দ্রাণী। তাঁকে ফালতু, বেকার বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যান সেই প্রযোজক। ইন্দ্রাণী যোগ করেছেন, “এরপর অনেক ক্ষণ বসে রইলাম আমি। খালি ভাবতে লাগলাম, আমি কী করলাম এটা? আমি কি ঠিক করলাম? তারপর আমি অনেক বড় করে লোকটাকে ধন্যবাদ জানালাম যে আজকে উনি আমার সাহসটা বাড়িয়ে দিলেন। আমি আপস করতে আসিনি। করবও না। সেদিন আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে যে আত্মবিশ্বাসটা সেদিন উনি আমায় দিয়েছিলেন সেই সাহসেই কিন্তু আজকে আমি দাঁড়িয়ে আছি।” শুধু ইন্দ্রাণী নন। মিটুর ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই। ইন্দ্রাণী পেরেছিলেন নিজেকে রক্ষা করতে, অনেকের মনে মধ্যে আজও চাপা হয়ে রয়েছে মারাত্মক যন্ত্রণা।