জয়া আহ্সান। দুই বাংলার কন্যা। তিনি যতটা পশ্চিমবঙ্গের ততটাই বাংলাদেশের। এই কথা নিজেও স্বীকার করেন অভিনেত্রী। অনেক সাক্ষাৎকারেই তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশে গেলে তাঁর কলকাতার জন্য মন কেমন করে, আবার কলকাতায় এলে বাংলাদেশের জন্য তাঁর মন খারাপ হয়।দুই বাংলার স্বাদ-গন্ধ, ভাবাবেগ শরীরে এবং মনে বহন করে নিয়ে চলেছেন জয়া। এই মেয়ে যেন দুই বাংলার ‘মোহনা’।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের এবং বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে হত্যা করার জন্য ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করেছিল পাকিস্তানের সেনা। কিছুদিন আগে সেই ইতিহাস তুলে ধরেছিলেন জয়া। শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন তিনি।
আজ ৩১ মার্চ। ১৯৭১ সালে ঠিক এই দিনে বাংলাদেশের ভাইবোনেদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কীভাবে হরতাল করেছিল,এবার সেই ইতিহাস নিজের ইনস্টাগ্রামে লিখলেন তিনি। এক সীমানা-ছিন্ন -করা মৈত্রীর কথা মনে করিয়ে দিলেন জয়া আহ্সান। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “আজকের এই দিনটিতে, ঠিক ৫০ বছর আগে, পশ্চিমবঙ্গের একটি সিনেমাহলেরও পর্দা ওঠেনি। সব থিয়েটার ছিল বন্ধ।তারিখ ৩১ মার্চ ১৯৭১। দিনটি ছিল আজকের মতোই বুধবার। পশ্চিমবঙ্গে চলেছিল স্বতঃস্ফূর্ত এক হরতাল। জনতার হরতাল।এমন সর্বৈব হরতাল কলকাতাও বোধ করে দেখেনি কখনো। দোকানপাট বন্ধ, যান অচল, কারখানা রুদ্ধ, বাজারহাট স্তব্ধ।আশ্চর্য! এমনকি বিমান ওড়েনি। ছোটেনি কাছের বা দূরের কোনো ট্রেন।শুধু সরব ছিল পথ। মিছিলে মিছিলে।কারণ এ মাসেরই ২৫ তারিখ থেকে বাংলাদেশে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করতে শুরু করেছিল পাকিস্তানি সেনারা। পশ্চিমবঙ্গের জনতা তাদের বাংলাদেশের ভাইবোনদের জন্য শোকে নিথর করে দিয়েছিল এই দিনটিকে। গভীর ভালোবাসায়। দিনটিকে তারা ঘোষণা করেছিল শোক দিবস বলে।সীমানা ছিন্ন করা মৈত্রীর এক অনন্য দিন : ৩১ মার্চ ১৯৭১।”
আরও পড়ুন :‘আমার পুরুষ’ বলে কার দিকে ইঙ্গিত করলেন পাওলি দাম?
কয়েক দিনের ব্যবধানে জয়ার দু-দুটো পোস্ট দেখলে বোঝা যায় এই মেয়ে শঙ্খচিল হয়ে উড়ছে এপার বাংলা-ওপার বাংলার আকাশে। সম্প্রতি পরিচালক সৌকার্য ঘোষালের ‘ভুতপরী’-তে অভিনয় করলেন তিনি। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘রবিবার’-এ।