‘দিদি তুমি কার?’আরজি কর বিতর্কের মাঝে প্রকাশ্যে অপর্ণাকে তুলোধনা জীতুর
Tollywood: আরজি কর কাণ্ডের প্রভাবে উত্তাল গোটা রাজ্য। পথে নেমেছেন আম জনতা থেকে টলিপাড়ার তারকারা। পথে নেমেছেন শহরের বুদ্ধিজীবীরাও। ১ সেপ্টেম্বর মহামিছিলের দিন জমায়েতে শামিল হয়েছিলেন অভিনেত্রী পরিচালক অপর্ণা সেনও। মিছিলে শামিল হয়ে গো-ব্যাক স্লোগানও শুনতে হয়েছিল তাঁকে। এমকি কেউ কেউ তাঁকে বলেন,"চটিচাটা বুদ্ধিজীবী।"

আরজি কর কাণ্ডের প্রভাবে উত্তাল গোটা রাজ্য। পথে নেমেছেন আম জনতা থেকে টলিপাড়ার তারকারা। পথে নেমেছেন শহরের বুদ্ধিজীবীরাও। ১ সেপ্টেম্বর মহামিছিলের দিন জমায়েতে শামিল হয়েছিলেন অভিনেত্রী পরিচালক অপর্ণা সেনও। মিছিলে শামিল হয়ে গো-ব্যাক স্লোগানও শুনতে হয়েছিল তাঁকে। এমকি কেউ কেউ তাঁকে বলেন,”চটিচাটা বুদ্ধিজীবী।” যদিও বিভিন্ন রকমের কটাক্ষের পরেও রাস্তায় নেমেছেন তিনি। এই আন্দোলনে দমে যেতে যে তিনি মোটেই রাজি নন সে কথা কার্যত প্রমাণ করে দিলেন নিজের কাজের মাধ্যমে। এবার প্রবীণ অভিনেত্রীকে একহাত নিলেন অভিনেতা জীতু কামাল। আরজি কর ঘটনায় এর আগেও মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
এই আন্দোলন রাজনৈতিক নাকি অরাজনৈতিক সেই প্রসঙ্গ টেনেও পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা। এবার সমাজমাধ্যমের পাতায় অপর্ণাকে একহাত নিলেন নায়ক। ফেসবুকের পাতায় অভিনেত্রীর দুই কালের ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। বাঁ দিকে যে ছবিটি রয়েছে সেখানে অপর্ণা ছাড়াও রয়েছেন কৌশিক সেন, জয় গোস্বামী-সহ আরও অনেকে। আর ডান দিকের ছবিটি সদ্য হওয়া মিছিল। দুই সময়কার ছবি পোস্ট করে একটি দীর্ঘ লেখা লেখেন তিনি।
ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে অপর্ণার উদ্দেশে জীতু লেখেন,”রাস্তায়/মিছিলে দেখলেই, ‘তৃণমূলী দাদারা জিজ্ঞেস করুন দিদি তুমি কার?, সিপিএম দাদারা জিজ্ঞেস করুন দিদি তুমি কার?, বিজেপি দাদারা জিজ্ঞেস করুন কত খরচে তুমি আমার?” নায়কের এই পোস্টে উপচে উঠেছে মন্তব্য। এক ব্যক্তি জিতুর সঙ্গে সহমত হয়ে লেখেন,”যে দিকে ক্ষমতা উনি তার’। কারোর কথায়, ‘এদের মেরুদণ্ড নেই বলব না, জন্মের সময় এদের মেরুদণ্ড বানানোই হয়নি।’ কারোর কথায়, ‘এরা প্রতিবাদী নয়, এরা ধান্দাবাজ, ধর্ষকদের সঙ্গে এরাও সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর।’
কারও বক্তব্য, ‘অপর্ণা সেনকে না পেলে রুদ্রনীল ঘোষকেও এই একই প্রশ্নগুলো করে উত্তর নিয়ে নিতে পারেন।” আবার একজন মন্তব্য করেন, “যতটুকু জানি বা শুনেছি ২০১১এর আগে পরিবরতন চাই বলে রাস্তায় বহু মানুষের মধ্যে উনিও ছিলেন।” তাঁকে নায়ক উত্তরও দেন। তিনি বলেন,”শঙ্কর সামন্ত নামে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির, তিনি শহীদ। তার বেদী লাথি মেরে ভেঙে দিয়েছিলেন।” যদিও অনেকে অবশ্য তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি। উল্টে নায়ককে পরামর্শ দিয়েছেন মাথা ঠান্ডা রেখে যে কোনও পোস্ট করতে।





