কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টোরাজ, একে অন্যের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। আইনি মতে এদিন বিয়ে সারেন তাঁরা। তবে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ে যায় শোরগোল। একশ্রেণি তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, অপর শ্রেমি আবার কটাক্ষ করতে পিছপা হননি। ৫৬ বছর বয়সে এসে তৃতীয় বিয়ে কাঞ্চনের। যদিও সব মান অভিমান ঝেড়ে ফেলে এবার সকলকে ধন্যবাদ জানাতে লাইভে এলেন জুটি। শ্রীময়ী চট্টোরাজ অসম্ভবকে সম্ভব করলেন। কাঞ্চন মল্লিকের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করেন অন্যকেউ। তিনি কোনওদিন লাইভে আসেননি। শ্রীময়ী চট্টোরাজ্য জোর করাতে কাঞ্চন অবশেষে রাজি হন, এবং ৫৬ বছরে প্রথম তিনি কোনও লাইভ করেন।
কাঞ্চন এদিন বলেন, ‘আমি এমনই ক্যামেরার সামনে সাবলীল হলেও, এই ক্যামেরার সামনে সাবলীল নই। আমি এসব ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে জানি না। ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে আমি ছবি বেছে দিই কী পোস্ট হবে, সেগুলো আমার পিআর টিম পোস্ট করে। এখন ও (শ্রীময়ী চট্টরাজ) আমায় হাতে ধরে এসব শেখাচ্ছে। যেদিন শিখে যাব দেখবেন আমি একাই কথা বলে যাব।’
এরপর শ্রীময়ী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ”এত শুভেচ্ছা পেয়েছি, আপনারা এত অভিনন্দন জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন কতজন। বিয়ের পর এটা আমাদের প্রথম শিবরাত্রী ছিল। আমি যখন শিবরাত্রী করতে শিবমন্দিরে গিয়েছিলাম, তখন রাস্তায় ধরে ধরে আমায় বলেছে, খুব ভাল লাগছে। এগুলোই তো আমাদের কাছে আশীর্বাদ।”
এরই মাঝে শ্রীময়ীকে থামিয়ে কাঞ্চন বলেন, ”সামনেই বসন্ত উৎসব। সেই জন্য বলছি, আপনারা সকলে বসন্তের রঙে মেতে উঠুন। না কোনও বিশেষ রঙে নয়। বসন্তের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তুলুন। একটা কথা রয়েছে ললিত রঙ…, সেভাবেই বলব, যে প্রেমের সঙ্গে হলি খেলুন। প্রেমের রঙ লাগুক মনে…।”