বিয়ের পর প্রথম কালীপুজো তাঁদের। গত দু’বছর রাখঢাক করে দীপাবলি পালন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখন আর কোনও আড়াল আবডালের ব্যাপার নেই। আলোর উত্সবে শাড়ি গয়না এবং পাজামা-পাঞ্জাবীতে সেজে ধরা দিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ এবং কাঞ্চন মল্লিক। গত তিন বছর ধরে আবারও বাড়িতে মা কালীর পুজো করছেন অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন। মাঝে বেশ কিছু বছর বন্ধ ছিল কালীপুজো করা।
কারণ,এমনই এক পুজোর দিনে অভিনেতার মায়ের মারাত্মর অঘটন ঘটেছিল। তার পর থেকে বাড়িতে পুজো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিন বছর আগে শ্রীময়ীর উদ্যোগেই আবার সেই পুজো শুরু করেন কাঞ্চন। সে সময় অবশ্য তাঁরা বিবাহিত ছিলেন না। তাই উদ্যোক্তা যে শ্রীময়ী তা প্রকাশ্যে আনতে বাধো বাধো ঠেকত। বিয়ের পর এটাই তাঁদের প্রথম দীপাবলি। তাই বিশেষ দিনে বিশেষ ভাবে সেজেছিলেন নবদম্পতি। কাঞ্চনের পরনে ছিল লাল রঙের পাঞ্জাবী। আর শ্রীময়ীর পরনে ছিল সবুজ পাড়, বেগুনি রঙের সিল্ক শাড়ি। শ্রীময়ীর সাজে খানিকটা মহারাষ্ট্রের ছোঁয়াও দেখা গিয়েছে।
বিশেষ দিনে TV9 বাংলাকে শ্রীময়ী আর কাঞ্চন বললেন, “মায়ের টানেই আজ কাঞ্চন ভোগ রান্না করেছে। ” শ্রীময়ীর সুর ধরেই কাঞ্চন বললেন, “আমি জীবনে ডিমও ভাজিনি। কোনও দিন হাতা খুন্তি ধরিনি। সেখানে আজ ভোগ রান্না করেছি। তবে সবটাই শ্রীময়ীর তত্ত্বাবধানে। আমায় পুরোটা সাহায্য করেছে ও। সবটাই মায়ের ইচ্ছা।” পাকা রাঁধুনির মতো এ দিন মা কালীর জন্য বাঁধাকপির তরকারি , লাবড়া-সহ অনেকগুলো পদ নিজে হাতে তৈরি করেন কাঞ্চন। তবে শুধু কালী পুজো নয় তাঁর বাড়িতে ধুমধাম করে অন্যান্য পুজোও হয়ে থাকে। শ্রীময়ী জানিয়েছেন তিনি পুজো করতে খুব ভালবাসেন। তাই পটু গৃহিনীর মতো বাড়ির সব অনুষ্ঠানগুলো সামলান তিনি।