‘দীপ্তি’ময় তাঁর অভিনয় জীবন, অভিনেত্রীর জন্মদিনে রইল জীবনের অজানা তথ্য: দেখুন গ্যালারি
শান্ত চোখ। শ্যামবর্ণ। মৃদুভাষী।সাত-আটের দশেকে সমান্তরাল ছবিতে দীপ্তি নাভালের একধিপত্ব প্রকট ছিল। সুন্দরী এবং স্ক্রিন প্রেজেন্সের মিশেলে যতবার তিনি স্ক্রিনে এসেছেন, দর্শকদের মন কেড়েছেন ততবার। অভিনয় দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক চরিত্রে নিজেকে সাজিয়েছেন দীপ্তি। আজ দীপ্তি নাভালের জন্মদিনে Tv9 বাংলা খুঁজল তাঁর জীবনের অজানা গল্পগুলো...
শুধু অভিনয় নন। দীপ্তি একজন অসামান্য চিত্রকর। তাঁর হাতের আঁকা এতটাই ভাল, যে এক সময়ে তাঁর বাবা-মা চেয়েছিলেন তিনি পেন্টিং নিয়েই হোক তাঁর কেরিয়ার। কিন্তু পরে তা না হলেও দীপ্তি নিজের পেন্টিং চালিয়ে গিয়েছেন। বেশ কয়েকটি পেন্টিংয়ে তিনি এঁকেছেন সন্ন্যাসীনি, কুমাও অঞ্চল, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং আরও অনেক কিছু।
দীপ্তির অন্যতম এক আঁকায় ফুটে উঠেছিল এক ‘গর্ভবতী সন্ন্যাসিনী’। সেই আঁকার তাৎপর্যও পরিষ্কারভাবে বুঝিয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছে তাঁর কাজ।
দীপ্তির সঙ্গে বারবার নাম জুড়েছে প্রয়াত অভিনেতা ফারুক শেখের নাম। বহু ছবিতে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে ফারুক-দীপ্তিকে। ভীষণ ভাল বন্ধু ছিল দু’জন। কিন্তু আটের দশকে জল্পনা উঠেছিব তাঁরা ডেট করছেন। তবে তা জল্পনাই ছিল সত্যি হয়নি।
ফারুক শেখের মৃত্যুর পর দীপ্তি এক ক্যানডিড ছবি পোস্ট করেন। দীপ্তি লেখেন ফারুক ছিলেন বড় ‘ফ্লার্ট’। কিন্তু দীপ্তির সঙ্গে ফ্লার্ট করার চেষ্টাও করেননি। তাঁরা ভীষণ ভাল বন্ধু ছিলেন।
চশমে বদ্দুর’ ছবির রিমেকের রিলিজের আগে এক সাক্ষাৎকার আয়োজিত হয় দীপ্তির ফ্ল্যাটের ছাদে। ফারুক শেখও ছিলেন তাঁর সঙ্গে। তাঁর আবাসিকের সদস্যরা এই সাক্ষাৎকারের আপত্তি করে বলেন, ‘নাটক’ বন্ধ করতে। তবে পরের দিনের সংবাদ পত্রে অভিনেত্রী এটা দেখে চমকে যায় তাঁকে নিয়ে লেখা যে তিনি মধুচক্র চালাচ্ছেন। তিনি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেন।
দীপ্তির কাছের বন্ধু ছিলেন স্মিতা পাতিল এবং শাবানা আজমি। ত্রিমূর্তি শুধু অন স্ক্রিনেই নন, অফ স্ক্রিনেই ভীষণ কাছের বন্ধু ছিলেন।
পরিচালক প্রকাশ ঝা-কে বিয়ে করেন দীপ্তি নাভাল। তাঁরা দুজনে এক কন্যাকে দত্তকও নেন। দিশা। বিয়ের দু'বছর পরেই বিবাহবিচ্ছেদ হয় প্রকাশ-দীপ্তির। কিন্তু তিনি কখনও কোনও বিষয়ে অভিযোগ করেননি। উল্টে ও বলেন যে প্রকাশকে জীবনে পেয়ে তিনি ভীষণ খুশি।