‘দাউদ সন্ত্রাসবাদী নন’, মমতার মন্তব্য ঘিরে তুমুল বচসা
১৯৯৩ সালের ভয়াবহ মুম্বই বিস্ফোরণে ২৫৭ জনের মৃত্যু এবং হাজারের বেশি মানুষের আহত হওয়ার ঘটনায় দাউদের নাম অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে। ফলে, মমতার এই মন্তব্যে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের বন্যা বইতে থাকে।

বলিউডের তিনি প্রাক্তন অভিনেত্রী। বর্তমানে সন্ন্যাস জীবনযাপন করছেন। কথা হচ্ছে মমতা কুলকার্নির। তিনিই ফের আলোচনায়। গোরখপুরে এক আধ্যাত্মিক সফরে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলে বসেন, “দাউদ ইব্রাহিম মুম্বই বিস্ফোরণ ঘটাননি, তিনি সন্ত্রাসবাদী নন।” মুহূর্তেই সেই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ১৯৯৩ সালের ভয়াবহ মুম্বই বিস্ফোরণে ২৫৭ জনের মৃত্যু এবং হাজারের বেশি মানুষের আহত হওয়ার ঘটনায় দাউদের নাম অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে। ফলে, মমতার এই মন্তব্যে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের বন্যা বইতে থাকে।
এই বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার মমতা কুলকার্নি নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। গোরখপুরেই তিনি জানান, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি আসলে ভিকি গোস্বামী সম্পর্কে বলছিলাম, দাউদ ইব্রাহিম নয়। দাউদ নিঃসন্দেহে একজন সন্ত্রাসবাদী।”
ভিকি গোস্বামী এক সময় মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয় এবং তাঁর নাম মমতার সঙ্গেও জড়ানো হয়েছিল। মমতা আরও স্পষ্ট করে জানান, তাঁর সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের কোনওদিন কোনও যোগাযোগ হয়নি। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে রাজনীতি বা চলচ্চিত্র জগতের আর কোনও সম্পর্ক নেই। এখন আমি সম্পূর্ণভাবে আধ্যাত্মিক জীবনে নিবেদিত। আমি সনাতন ধর্মের একনিষ্ঠ অনুসারী, তাই দেশের কোনও শত্রুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক থাকা অসম্ভব।”
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি ‘ক্রান্তিবীর’, ‘করন অর্জুন’, ‘চায়না গেট’–এর মতো ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছিলেন। ২০০২ সালে অভিনয়জগৎ ছেড়ে দেন তিনি। ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক মাদকচক্র মামলায় থানে পুলিশ তাকে অভিযুক্ত করে, যদিও ২০২৪ সালে বম্বে হাইকোর্ট মামলাটি “ভিত্তিহীন” বলে খারিজ করে দেয়। বর্তমানে মমতা সন্ন্যাসজীবন গ্রহণ করে আধ্যাত্মিক চর্চায় ব্যস্ত।
