জয়ার জন্যই বড় ক্ষতি হয়েছিল মৌসুমীর! সেই স্মৃতি এখনও দগদগে নায়িকার
তাঁরা দুজনেই বাঙালি অভিনেত্রী। যদিও কোনও অংশে তাঁদের মিল নেই। বরং কিছু দিন আগে ভাইরাল হয়েছিল এমনই এক ভিডিয়ো যা নিয়ে আলোচনাও কম হয়নি। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় এবং জয়া বচ্চনের । তাঁদের দু'জনকে নিয়েই গর্বিত গোটা বাংলা।
তাঁরা দুজনেই বাঙালি অভিনেত্রী। যদিও কোনও অংশে তাঁদের মিল নেই। বরং কিছু দিন আগে ভাইরাল হয়েছিল এমনই এক ভিডিয়ো যা নিয়ে আলোচনাও কম হয়নি। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় এবং জয়া বচ্চনের । তাঁদের দু’জনকে নিয়েই গর্বিত গোটা বাংলা। কিন্তু জানেন কি জয়াকে মোটে সহ্য করতে পারেন না মৌসুমী। এই তথ্য কি আপনাদের জানা আছে? যদিও জয়ার প্রতি অভিনেত্রীর যে বিরক্তি তা আর রাখঢাক নেই। প্রকাশ্যেই জয়ার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মৌসুমী। কিন্তু কেন? কী হয়েছিল?
সাল ১৯৭২। মুক্তি পেয়েছিল ‘গুলজার’ অভিনীত ছবি ‘কোশিস’। ওই ছবিতে প্রথমে কাজ করার কথা ছিল মৌসুমীর। সেই মতো ছবির শুটিংও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিন দিন শুটিং হওয়ার পরেই নাকি কার্যত বাদ পড়েন মৌসুমী। তিনি দাবি করেন, যে তিন দিন তিনি শুটিং করেছিলেন ওই তিন দিন তিনি দেখেছিলেন জয়ার সেক্রেটারি সকাল থেকে রাত অবধি অফিসে এসে বসে আছেন। মৌসুমী জানান, হঠাৎই গুলজার এসে তাঁকে বলেন, আগামীকাল থেকে একটু বেশি রাত পর্যন্ত শুট করার জন্য। কিন্তু মৌসুমী জানিয়েছিলেন, তাঁর সন্তান ছোট, তাই যে কোনও একটি শিফটেই তিনি কাজ করতে পারবেন।
ব্যাপারটা নাকি ভালভাবে নেননি গুলজার। সকলের সামনেই তাঁকে বলেন, “বহু নায়িকা লাইন দিয়ে আছে এই জায়গাটা পাওয়ার জন্য।” মৌসুমীর কথায়, “আমিও বলেছিলাম, তাহলে ওদেরকেই নিন।” তাই হয়েছিল, মৌসুমীকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছিল জয়া বচ্চনকে। ওই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান সঞ্জীব কুমার। অন্যদিকে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কার পান গুলজার। কয়েক দিন আগে পাপারাজ্জিরাও তাঁকে জয়ার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। যে কথা মোটেই সহ্য হয়নি মৌসুমীর। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি কখনও এই তুলনা মেনে নেবেন না।