আরও একটা রাত দখলের রাত। ১৪ অগস্টের পর ৪ সেপ্টেম্বর রাত। শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পথে নামবেন সবাই। ৯ অগস্ট আরজি করে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে দাবি শুধুই ন্যায় বিচারের। ১৪ অগস্ট রাতে সাধারণ মানুষ থেকে স্টুডিয়োপাড়ার তারকাদের দেখা গিয়েছিল পথে। ৪ সেপ্টেম্বরও ঠিক যেন অনেকটা তেমনই চিত্র। ২৫ দিন পার হয়ে গিয়েছে তিলোত্তমা কাণ্ডের বিচার এখনও পাওয়া যায়নি। এ দিন রাতে প্রতিবাদ জানাতে যাদবপুর ৮বি অঞ্চলে পৌঁছন নায়িকা। এই রাত দখলের লড়াই, ন্যায় বিচারের লড়াই প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে মিমি বলেন,”এই লড়াইটা শুধুমাত্র আমার ডাক্তার ভাইবোনদের নয়। শুধুমাত্র তিলোত্তমার পরিবারের নয়। এই লড়াইটা প্রত্যেকটা মেয়ের লড়াই। প্রত্যেকটা মায়ের লড়াই। যাঁরা কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আমাদের সবার লড়াই। কলকাতা গোটা বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি আমরা এটা মেনে নিইনি। মেনে নেব না। আর যত দিন না ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে তত দিন আমরা লড়াই ছাড়ব না। ডাক্তার ভাই বোনেদের মতো শান্তিপূর্ণ লড়াইয়ের পক্ষে রয়েছি আমি। আর এই লড়াইয়ে আমি সব সময় পাশে আছি। যা সাহায্য দরকার তার জন্য সব সময় পাশে রয়েছি আমি।”
উল্লেখ্য, আরজি কর ঘটনার পর নেটিজেনের একাংশের জঘন্য, কুমন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন নায়িকা। রশিদুল নামের একটি ব্যক্তির মন্তব্যে লেখেন,”মিমি শুধু একটা মেয়ে বলে তাঁর জন্য খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে পারছি না। আজ যদি এই ঘটনা মিমির সঙ্গে ঘটত তাহলে কী করতিস? মিমির পরিবারকেও ১০ লাখ টাকা দিতিস নাকি? তাহলে মিমিকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দিস আমি দিয়ে দেব ১০ লাখ ওর পরিবারকে।” আবার আর এক জন লেখেন,”ধর্ষণটা মিমির সঙ্গে হলে ভাল হত।” তবে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি পেয়ে কিন্তু চুপ থাকেননি নায়িকাও। তিনি লেখেন,”আর আমরা একজন মহিলার জন্যই ন্যায় বিচার চাইছি তাই না? এঁরা অনেকের মধ্যে কিছুজন। এখন ধর্ষণের হুমকিকে নর্মলাইজ করে ফেলেছে এই বিষাক্ত পুরুষ সমাজ। একই সঙ্গে ভিড়ের মধ্যে মিশে গিয়ে বলছে যে তাঁরা নাকি মেয়েদের পাশে আছেন! এটা কোন শিক্ষার পরিচয়?” এমনকি সাইবার ক্রাইমের সহযোগিতায় এফআইআর দায়ের করা হয়। এ প্রসঙ্গে নায়িকা বলেছিলেন,”যে সব অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রকৃত দোষীকে খুঁজছে। খোঁজ পাওয়া কঠিন হচ্ছে কারণ তারা নিজেদের সব কমেন্ট মুছে দিয়েছে।”