Nachiketa Chakraborty: সব মদন, বলে বলে আমার ক্যানসার করিয়ে দেবে: উত্তেজিত নচিকেতা
Nachiketa Chakraborty: তিনি ‘আগুনপাখি’— ৩০ বছর ধরে আগুন-গানে মাতিয়ে রেখেছেন দর্শকদের। তাঁর গান শুনে লাল ফিতে সাদা মোজার নীলাঞ্জনারা অনুভব করেছে প্রথম ভাললাগার অনুভূতি। অন্যদিকে তাঁর ‘বৃদ্ধাশ্রম’ শুনে চোখ ভিজেছে বৃদ্ধের। সেই নচিকেতা চক্রবর্তী তাঁর তিন দশকের জার্নি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লাগাতার মিথ্যা রটনায় গেলেন রেগে।
তিনি ‘আগুনপাখি’— ৩০ বছর ধরে আগুন-গানে মাতিয়ে রেখেছেন দর্শকদের। তাঁর গান শুনে লাল ফিতে সাদা মোজার নীলাঞ্জনারা অনুভব করেছে প্রথম ভাললাগার অনুভূতি। অন্যদিকে তাঁর ‘বৃদ্ধাশ্রম’ শুনে চোখ ভিজেছে বৃদ্ধের। সেই নচিকেতা চক্রবর্তী তাঁর তিন দশকের জার্নি নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লাগাতার মিথ্যা রটনায় গেলেন রেগে। শুধু রেগে গেলেন তা নয়। উত্তেজনায় মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল গালিগালাজও।
বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই রটনা, নচিকেতা চক্রবর্তী নাকি ক্যানসারে আক্রান্ত। এও রটনা তিনি আর গান গাইতে পারেন না। গলা বসে গিয়েছে। বাজারে এই সব রটলে একজন শিল্পীর কাছে তা যে কত বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় তা বোধহয় আলাদা করে বলার দরকার নেই। কাজ কমতে থাকে। পড়তে হয় নানা বাধার মুখেও। সেই নিয়েই মূলত রেগে গিয়েছিলেন নচিকেতা। মঞ্চেই ভরা দর্শকের সামনে উত্তেজিত গায়ককে বলতে শোনা যায়, “৪০ বছরের একটা লড়াই আমার। প্রতিবারই সবাই বলে এই বুঝি নচিকেতার নৌকো ডুবে গেল। অনেকেই বলে এই নচিকেতার ক্যানসার হয়ে গেল। আর শো করতে পারবে না। ও শেষ… কারা যে এগুলো বলে কে জানে?” গায়ক যোগ করেন, “যাদের সঙ্গেই দেখা হয়, তারাই দেখি বলছে, ‘শরীর ভাল তো?’ শো’র মাঝে গ্রিনরুমে চা খাচ্ছি, সেখানেও গিয়ে, ‘দাদা শরীর ভাল তো?’ নতুন কিছু প্রশ্ন নেই তাঁদের কাছে, আরে এটা কি নচিকেতাকে করার প্রশ্ন? কোথায় আমায় জিজ্ঞসা করবে, জিডিপির রেট কী হওয়া উচিৎ! আগামী সরকার কী হবে? তা না!” গায়কের হুঁশিয়ারি, “এরা নিজেদের শিক্ষিত বলে! নিজের ছেলেকে শাসন করে। তোর বাবাই শিখল না, ও নাকি শিখবে! এর পর থেকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে শরীর নিয়ে আমি বলব, ‘ তোর বাবার শরীর ভাল আছে তো?’ দেখছে দাপিয়ে শো করছি… তাও এই সব করে যাচ্ছে্, এবার আপনারা বলে বলে করিয়ে দেবেন ক্যানসার…।”
নচিকেতা মানেই আগুনপাখি। একসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল তাঁর গান। জোর গলায় তিনি গেয়ে উঠেছিলেন, ‘মন্ত্রীরা সব … আস্ত বদের ধারি’। তবে আজ তিনিও রাজনীতির অংশ। আজও কি অন্যায় দেখলে সেই গান তিনি গেয়ে উঠবেন? কিছু দিন আগেই তাঁকে এই প্রশ্ন করেছিল টিভিনাইন বাংলা। তিনি বলেছিলেন, “আমি তো গাইছি। আমি আজও বলতে পারি, ‘মন্ত্রীরা সব হারামজাদা… আস্ত বদের ধাড়ি, তুড়ুক নাচে, মন্ত্রিসভা এখন বাইজি বাড়ি’। এরপরেই সরাসরি আইটিসেলকে নিশানা করে তিনি যোগ করেছিলেন, “যারা বলছে নচিকেতা এই সব গান এখন গাইছে না স্রেফ বাজে কথা। আমাকে ডি-গ্ল্যামারাইজ কতগুলো পাঁঠা করতে পারবে না। আমি বাংলা ভাষার উপর যে দাগটা রেখে গিয়েছি কতগুলো ফোড়ে আমার সম্পর্কে দু-পাঁচটা বাজে কথা বলে কিছুতেই আমাকে ম্লান করতে পারবে না।”