নেটফ্লিক্সের ‘স্ট্রিম ফেস্ট’ শুরু আজ, উইকেন্ডে হাজির ভরপুর বিনোদন  

আজ আর কাল সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ যে নেটফ্লিক্সের এই উইকেন্ড প্যাকেজ জমিয়ে উপভোগ করবেন সেটা স্পষ্ট।

নেটফ্লিক্সের ‘স্ট্রিম ফেস্ট’ শুরু আজ, উইকেন্ডে হাজির ভরপুর বিনোদন  
Netflix Stream Fest

| Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Dec 05, 2020 | 7:31 PM

আজ থেকে শুরু নেটফ্লিক্সের ‘স্ট্রিম ফেস্ট’। বিনা পয়সায় সিনেমা, সিরিজ, ডকুমেন্টারি, এককথায় নেটফ্লিক্স (Netflix) অ্যাপে যা যা আছে সবই দেখতে পাবেন দর্শকরা। এই ‘স্ট্রিম ফেস্ট’ চলবে আগামীকাল রাত ১২টা পর্যন্ত। স্মার্টফোনে নেটফ্লিক্স অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা থাকলেই এই দু’দিন অনায়াসে দর্শকরা সবকিছু দেখতে পাবেন একদম বিনামূল্যে।

এর আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যুর পর তাঁর শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’ দেখার ক্ষেত্রে এমনই সুযোগ দিয়েছিল ডিজনি হটস্টার। সেক্ষেত্রে অবশ্য সব ছবি বিনামূল্যে দেখার অনুমতি দেয়নি হটস্টার (Hotstar)। কেবলমাত্র সুশান্তের মর্মান্তিক পরিণতিতে তাঁকে ট্রিবিউট দিতেই ‘দিল বেচারা’-র অনলাইন স্ট্রিমিং করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

তবে হটস্টারের মতো অত কড়াকড়ি নেই নেটফ্লিক্সে। আজ এবং আগামী কাল জমিয়ে উইকেন্ড উপভোগ করতে পারবেন সিনেমা প্রেমীরা।

আরও পড়ুন: ১৩৪৮ টাকার ফ্যামিলি পোস্টপেড কানেকশন, ভিআই-এর নতুন প্ল্যানে রয়েছে একগুচ্ছ চমক

ভারতে এর আগে এ ধরনের অনলাইন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হয়নি। করোনার কারণেই নিঃসন্দেহে এ ধরনের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে নেটফ্লিক্স। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, আঞ্চলিক বাজারকেই নিশানা বানিয়েছে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ। আর সেইজন্যই বোধহয় ‘স্ট্রিম ফেস্ট’ কথাটির একটি অক্ষর লেখা হয়েছে হিন্দি হরফে। অনুমান, আগামী দিনে বাকি ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোও (ott platform) হয়তো এইসব পদ্ধতি নেবে।

উল্লেখ্য, এবছর করোনা আবহে ভার্চুয়াল জগত আমাদের অন্যতম জীবনসঙ্গী হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে উপরি পাওনা ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরকাড়া অফার। করোনা ভারতে থাবা বসানোর আগেও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের রমরমা ছিল। তখনও ঝাঁপিয়ে পড়ে ওয়েব সিরিজ বা সিনেমা দেখতেন দর্শকরা। কিন্তু এখনকার পরিসংখ্যানে সেই সংখ্যাটা ছিল নেহাতই কম।

হালফিলে ওটিটি প্ল্যাটফর্মেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন দর্শকরা। সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সিনেমা হল। বিধিনিষেধ মেনে হাজার সতর্কতা নিয়ে নতুন করে সিনেমা হল (cinema hall) খুললেও সেভাবে হাজিরা নেই দর্শকদের। সিঙ্গল স্ক্রিনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গিন। আর এই পরিস্থিতিটাই বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগাতে চাইছে কিনা তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কারণ মানুষ গত সাত থেকে আট মাসে মুঠোফোন কিংবা স্মার্ট টিভিতে সিনেমা দেখতে অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে।

ভবিষ্যৎ কী হবে তা সময়ই বলবে। তবে আজ আর কাল সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ যে নেটফ্লিক্সের এই উইকেন্ড প্যাকেজ জমিয়ে উপভোগ করবেন সেটা স্পষ্ট।