রিয়্যালিটি শো, টিকে থাকতে পারলেই মোটা টাকা পকেটে। এই শর্তেই কেউ ব্যক্তিগত জীবন উজাড় করে ক্যামেরার সামনে রাত দিন কাটাচ্ছেন, কেউ আবার জীবনে ঝুঁকি নিয়ে নানা রকম স্টান্ট করছেন। দর্শকরা প্রতিটা মুহূর্তে তা নজরে রেখেও চলেছেন। এই ধরনের রিয়্যালিটি শোয়ের টিআরপি সর্বদাই থাকে তুঙ্গে। চ্যানেলের আয় নেহাতই কম হয় না। আর সেই রিয়্যালিটি শো যদি হয় ‘বিগ বস’, তবে তো কথাই নেই। যেখানে কোটি কোটি টাকা দিয়ে সলমন খানকে সঞ্চালক হিসেবে রাখা হয়েছে সেখানে এই শোয়ের বিজেতা এখনও টাকা পাননি? এও কি বিশ্বাস করা যায়? না, যায় না। আর যায় না বলেই শেহনাজ গিল অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ‘বিগ বস’ ওটিটি সিজন ২ বিজেতা এলভিশ যাদব শেহনাজ়ের ইউটিউব চ্যানেলে উপস্থিত হয়েছিলেন খোলা মনে আড্ডা দিতে।
বরাবরই দু-দুটি ফোন ব্যবহার করেন তিনি। যা দেখা মাত্রই শেহনাজ় প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তিন নম্বর ফোনটা কবে কিনছেন?’ প্রশ্ন শুনে এলভিশ উত্তর দিয়েছিলেন ‘৩ কেন, চার নম্বরটাও কিনে ফেলবো। আগে বিগ বস থেকে ২৫ লাখ টাকা পাই’। কথা শুনে চমকে যান শাহনাজ পাল্টা প্রশ্ন করেন ‘আপনি এখনও যেটা টাকা পাননি?’ এলভিস উত্তর দেন ‘না’। শেহনাজ় বরাবরই স্পষ্ট কথা বলতে দু’বার ভাবেন না, তাই এ ক্ষেত্রেও এলভিশকে ক্যামেরার সামনে খোলা মনে বলে ফেললেন ‘এটা তো ঠিক নয়’।
এরপর থেকে চর্চা তুঙ্গে, বিগ বস-এর মত একটা শোয়ের বিজেতা টাকা পাননি! মুঠো মুঠো টাকা যেখানে রিয়্যালিটি শো রোজগার করছে, সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে বিজেতার টাকা পেতে এতটা সময় কেন লাগছে? এমনই প্রশ্ন এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়। যদিও এই টাকা পেতে কত দিন সময় লাগে পুরো বিষয়টা প্রসেস হতে কতটা সময় লাগা উচিত সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে এই রিয়্যালিটি শো শেষ হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন হল। এখনও এলভিশের হাতে টাকা না পৌঁছানোর রীতিমতো অবাক হল এক শ্রেণি।