জুলাই মাসে শুরু হয়ে ‘কফি উইথ করণ’। এবারেরটা ছিল সপ্তম সিজ়ন। এই প্রথমবার ওটিটি প্ল্য়াটফর্মে স্ট্রিম করেছে এপিসোড। কারণ করণ জানেন, ওটিটিতেই যুব-দর্শককে শো দেখানো যাবে। ফলে সিদ্ধান্ত বদল হয় নাটকীয় ভাবে। সম্প্রতি শেষ হল ‘কফি উইথ করণ’-এর সপ্তম মরশুম। অন্তিম এপিসোডে তাঁকেও কিছু প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া মানসিক অবসাদ ও হতাশা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। স্ট্যান্ড আপ কমিডিয়ান কুশা কাপিলা, নিহারিকা এনএম, তন্ময় ভাট ও দানিশ সাইতের প্রশ্নের মুখোমুখি হন পরিচালক-প্রযোজক।
করণ জোহর এমন এক ব্যক্তি যাঁকে অহোরাত্র ট্রোল করা হয়। ট্রোল করা হয় তাঁর সেক্সচুয়ালিটি নিয়ে, নেপোটিজ়ম নিয়ে। পক্ষপাতিত্ব নিয়ে। অনেকবেশি আলিয়া ভাটের নাম করেন বলেও তাঁকে কটাক্ষ করা হয়। তাতে একটা সময় বিচলিত হলেও, এখন আর কোনও কিছুই প্রভাবিত করতে পারে না করণকে। জানিয়েছেন নিজেই।
করণ বলেছেন, “মানসিক অবসাদ ও হতাশায় ডুবে গিয়েছিলাম আমি। টানা ৫ বছর লড়েছি। আমি চিকিৎসকের পরামর্শ মানতাম। তিনিই আমাকে বলেছিলেন, আমি নাকি সবকিছুকে অনেকবেশি মজ্জাগত করে ফেলেছি। ফলে তিনি আমাকে সে সব থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিলেন। আমার সেক্সচুয়ালিটি নিয়ে লোকে মস্করা করা হয়েছে। আমি এখন সব কটাক্ষকেই ফুৎকারে উড়িয়ে দিই। কিন্তু আমার কষ্ট লাগে যখন দেখি আমার সন্তানদের নিয়েও কটাক্ষ করা বন্ধ হচ্ছে না। এটা আমাকে এখনও খুবই বিরক্ত করে।”