তথাকথিত ‘হিরো’দের এবার সোজা ভাষায় বিঁধলেন অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। তাঁর মতে যতক্ষণ শরীর আছে ততক্ষণই একজন হিরোর অস্তিত্ব রয়েছে। শরীর চলে গেলে নষ্ট হয়ে যায় তাঁর হিরোইজম। অন্যদিকে প্রকৃত অভিনেতাদের টিকে যাওয়ার নেপথ্যের ঘটনাও ব্যক্ত করেছেন নওয়াজ। এক সাক্ষাৎকারে আর কী বলেছেন তিনি?
নওয়াজের কথায়, একজন হিরোর কাছে তাঁর শরীরই সবটা। সিক্স প্যাক আর আবেদনময় শরীরের সাহাজ্যেই বক্স অফিস মাতিয়ে রাখেন তিনি। কিন্তু সময় থেমে থাকে না। হিরোরাও বৃদ্ধ হন, কালের নিয়মে ভেঙে পড়ে শরীর। জায়গা দখল করেন নতুন হিরোরা। কিন্তু অভিনেতাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খানিক অন্যরকম। অভিনয়কে হাতিয়ার করেই তাঁরা ইঁদুরদৌড়ে সামিল হন। জীবনে বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকমনে জীবিত থাকেন তিনি। তাই তাঁর কাজেরও অভাব হয় না। নওয়াজ সুঅভিনেতা। এই মন্তব্যের মাধ্যমে কি বলিউডের তথাকথিত হিরোদেরই বিঁধলেন তিনি? উঠছে সে প্রশ্নও। যদিও নওয়াজ কারও নাম নেননি।
ওটিটির তিনি ‘সুপারস্টার’। সাফল্য এসেছে মধ্যবয়সে। কাহানিতে অভিনয়ের পর তাঁকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘কন্টেন্ট ইজ দ্য কিং’ এই মন্ত্রে দীক্ষিত নওয়াজের হাতে এখন গুচ্ছ ছবি। সম্প্রতি সুধীর মিশ্রর ‘সিরিয়াস মেন’-এ অভিনয়ের জন্য আন্তর্জাতিক এমি নমিনেশন পেয়েছেন নওয়াজ। তবে এতদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পর এ কথা খুব স্পষ্ট ভাবে তিনি জানিয়েছেন, বর্ণবাদ তাঁকে বারবার সমস্যায় ফেলেছে। সুধীরের ছবিতে নওয়াজের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ইন্দিরা তিওয়ারি। ইন্দিরার এই ছবিতে সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই বলিউড এবং বর্ণবাদ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন নওয়াজ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নওয়াজ বলেন, “সুধীর সাহেবের সিনেমা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান। ওঁর চিন্তা ভাবনাও আধুনিক, বাস্তবভিত্তিক। উনি ইন্দিরাকে নায়িকা হিসেবে কাস্ট করেছেন। আমি জানি, বলিউডে কতটা বর্ণবাদ রয়েছে। যদি ইন্দিরাকে আবার লিড রোলে কাস্ট করা হয় আমি খুব খুশি হব। সুধীর মিশ্র করেছেন। কিন্তু বাকি যাঁরা মাথায় বসে রয়েছেন, দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা কী করছেন? নেপোটিজমের থেকেও বর্ণবিদ্বেষের সমস্যা বলিউডে অনেক বেশি।”
কয়েক মাস আগে নওয়াজের ব্যক্তি জীবনও ছিল চর্চায়। কারণ নওয়াজকে ডিভোর্স দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন তাঁর স্ত্রী আলিয়া। দশ বছরেরও বেশি সময়ের তাঁদের দাম্পত্যকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন এক লহমায়। শুধু তাই নয়, নওয়াজ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। এমনকী, ডিভোর্স কেস ফাইল করেছিলেন। অন্যদিকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন নওয়াজও। পরবর্তীকালে নওয়াজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নেন আলিয়া। এর প্রধান কারণ তাঁর স্বামীর ব্যবহার। প্যান্ডেমিক তাঁদের দু’জনের ভাঙা হৃদয় জোড়া লাগিয়েছে।
আরও পড়ুন- Vicky Kaushal: বছর শুরুতেই বিপত্তি, ভিকির বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ ইন্দোরের যুবক