ছোট মেয়ের জন্মদিন। সুস্মিতার চোখের মণি আলিশা আজ থেকে টিনএজার। না, তাঁদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক নেই, তবু সেই কোন ছোট্টবেলা থেকে আদরের মেয়েকে কোলে করে মানুষ করেছেন সুশ। তাই রবিবার মেয়ের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট ভেসে এল বাঙালি মেয়ের ইনস্টাগ্রামে। এক মিষ্টি বার্তা মেয়ের জন্য। কী লিখেছেন বিশ্বসুন্দরী?
সুস্মিতা লিখছেন, “হ্যাপি ১৩ আমার ভালবাসা। আলিশা মানে মহান। যে ভগবানের দ্বারা সুরক্ষিত। ও তো নিজেও তাই। আমি দেখেছি ওর মধ্যে সেই ভালবাসার বিশুদ্ধতা, দেখেছি ওর চোখে শক্তির উৎস। দেখেছি ওর বিশ্বাস, ওর কাজে সেই শুদ্ধতা।” থামেননি সুস্মিতা। লিখেছেন আরও। যোগ করেছেন, “আমি একজন ভাল মানুষ কারণ আমি যে আলিশার মেয়ে। সোনা মা ও দিদি তোমায় খুব ভালবাসে”। একই সঙ্গে তাঁর প্রতি পোস্টের শেষে মা দুর্গাকে স্মরণ করে নিতেও ভোলেনি তিনি।
গত বছরের শেষেই রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন সুস্মিতা। এর পরেই গত জুলাই মাসে প্রকাশ্যে আসে ললিত-কাণ্ড। আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান দাবি করেছিলেন সুস্মিতার সঙ্গে তিনি সম্পর্কে রয়েছে। খুব শীঘ্রই বিয়েও করবেন তাঁরা। সুস্মিয়া স্বীকার বা অস্বীকার কিছুই করেননি। তবে ললিতের ওই টুইটের পর থেকেই তাঁকে প্রচন্ডই ট্রোল্ড হতে হয়। তাঁর হাতের হিরের আংটি দেখে অনেকেই ধারণা করেন তা বোধহয় ললিতের উপহার। শুরু হয় বিতর্ক। এ প্রসঙ্গে নীরবতা ভেঙে একটি পোস্ট করেছিলেন সুস্মিতা। লিখেছিলেন, “… সকলেই তাঁদের দুর্দান্ত মতামত এবং আমার জীবন ও চরিত্র সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ভাগ করে নিচ্ছেন… ‘গোল্ড ডিগার’-কে সর্বদা নগদীকরণ করছেন! আহ কী প্রতিভা! আমি সোনার চেয়ে গভীরে খনন করি…এবং আমি সবসময় (বিখ্যাত) হীরা পছন্দ করি!! আর হ্যাঁ আমি এখনও সেগুলি নিজেই কিনতে পারি !আমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের হৃদয়ের সমর্থন এবং প্রিয়জনদের প্রসারিত করতে চাই। অনুগ্রহ করে জেনে রাখুন, আপনার সুশ একেবারে ঠিক আছে..”।
বরাবরই নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নীরবতা বজায় রেখেছেন সুশ। সিঙ্গল মাদার থেকে শুরু করে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক— ট্রোল্ড হয়েছেন আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন প্রতিনিয়ত। আর তাঁর এই যাত্রাপথে প্রধান স্তম্ভ তাঁর দুই মেয়ে– রেনে ও আলিশার। সেই আলিশাই আজ টিনএজার। মা হিসেবে এ যে তাঁর কাছে বড় আনন্দের এক দিন।