সেলেবদের অন্দরমহলের কাহিনি জানার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে বসে থাকেন ভক্তরা। ফলে কিছু অজানা সম্পর্ক, অজানা তথ্য যদি কোনও সেলেব নিজেই প্রকাশ্যে আনেন, তবে তা নিয়ে চর্চা পলকে ওঠে তুঙ্গে। এবার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও ঠিক তেমনই এক অজানা সম্পর্কের খোঁজ দিলেন ভক্তদের। যাঁর সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক যে কতটা নিবিড়, তা স্বস্তিকার পোস্টের প্রতিটা বাক্যে স্পষ্ট হয়ে উঠল। কে তিনি? কী তাঁর পরিচায়? সোশ্যাল মিডিয়ায় রাখির পরে সেই বিশেষ ব্যক্তিকে সামনে আনলেন অভিনেত্রী, লিখলেন, ”ফাল্গুনী দা, ওনার পুরো নাম টা জানিনা। কোনদিন জিজ্ঞেস করার কথাও মনে আসেনি। বাবা সব সময়, ওহে ফাল্গুনী, বলে ডাকতো, মা আর আমরা দুই বোন নামের সঙ্গে ‘দা’। আমার যখন ২০ বছর বয়স হবে, তবে থেকে ফাল্গুনী দা আমাদের বাড়িতে আসেন, তার আগে থেকে আসেন তেমন টাও হতে পারে। ঠিক মনে নেই। রক্ত পরীক্ষা করতে হলেই ওনার ডাক পরে। SRL ডায়গনিস্টিকস’এ কাজ করেন উনি, সারাজীবন এই সাদা পোশাক পরে আসেন, মুখে স্মিত হাসি, এসেই বলেন এক ফোঁটাও ব্যাথা লাগবে না। সত্যি তাই। ছুঁচে আমার বড় ভয়, কিন্তু বোঝার আগেই রক্ত নেওয়া হয়ে যায় ওনার।”
তবে এই পোস্টে যে কেবলই বিশেষ সম্পর্কের কথাই লেখা এমন নয়। কিছুটা পোস্ট পড়া মাত্রই বেজায় চিন্তিত হয়ে পড়লেন ভক্তরা। কারণ পোস্টের ভিতরেই তিনি লিখেছেন, তাঁর এক অপারেশন হবে, যা দেখে রীতিমত চিন্তার ভাঁজ ভক্তদের কপালে। কী লিখলেন, ”আমার সামনের সপ্তাহে একটা অপারেশন হবে, তাই আজকে রক্ত নেওয়ার জন্য এসেছিলেন বাড়িতে। ঢুকেই বললেন, আগে হাত টা দাও তো দিদিমনি, আমি বললাম তুমি যে কিসব বাঁধো রক্ত নেওয়ার আগে ওটা বাঁধবে না? বললেন আগে রাখী টা পরাই, এমন দিনে তোমার কাছে এলাম, তুমি একা একা থাকো, সামনে একটা পরীক্ষা, কত সাহস তোমার, বাবা আছেন কিন্তু, সব ভালো হবে। তুমি হাসপাতাল থেকে ফিরলে জানিয়ো আমি এসে দেখে যাবো। দিদিমনি বলে ডাকে ফাল্গুনী দা আমাদের, আমাকে, বোন কে, আমার মেয়েকেও। রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত নিতে আসা একজন মানুষের সঙ্গে কেমন রক্তের সম্পর্ক হয়ে যায় আমাদের। কত স্নেহ, মায়া, ভালোবাসা মিশে থাকে সেখানে। কোনদিন বলি না, আজকে বললাম, দাঁড়াও, তোমার সঙ্গে একটা ছবি তুলি। ফাল্গুনী দা যাওয়ার আগে দুটো কথা বললেন, ১. কত বয়স হলো তোমার? বললাম ৪২। বলল, ২০ ছিলে তো সেদিন, এতো কি করে বড় হয়ে গেলে? ২.দরজার বাইরে গিয়ে বললেন, হ্যাঁ গো বাবার ছবিতে রোজ একটু ধূপ দেখাও তো? তোমার কাছেই আছেন কিন্তু, আমি হেসে বললাম রোজ…।”