Shabash Feluda: ফেলুর হাতে স্মার্টফোন! দর্শকের কটাক্ষে কী বলছেন পরম-অরিন্দম?

Shabash Feluda: বাঙালির ইমোশন ফেলুদা। তাঁর হাতেই নাকি স্মার্টফোন! সম্প্রতি অরিন্দম শীলের ওয়েব সিরিজ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকমহলে নানা কথা। কেউ এই আধুনিকীকরণকে ভালই ভাবে নিয়েছেন, আবার কেউ করছে 'দূরছাই'।

| Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস

May 18, 2023 | 1:24 PM

বাঙালির ইমোশন ফেলুদা। তাঁর হাতেই নাকি স্মার্টফোন! সম্প্রতি অরিন্দম শীলের ওয়েব সিরিজ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকমহলে নানা কথা। কেউ এই আধুনিকীকরণকে ভালই ভাবে নিয়েছেন, আবার কেউ করছে ‘দূরছাই’। পরিচালক অরিন্দম শীল অবশ্য মনে করেন, সত্যজিৎ রায় নিজেও গল্পের প্রয়োজনে পরিবর্তন ঘটিয়েছে চিত্রনাট্যের…ফেলুদা তৈরিতে কতটা বাড়তি চাপ অনুভব করেছেন তিনি? টিভিনাইন বাংলা প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, “বাড়তি চাপ তো অবশ্যই থাকে। কারণ বাঙালির ইমোশনকে আমি যেন অসম্মান না করি। আর সত্যজিৎ রায়ের ভাবনাকে যেন অসম্মান না করি। আমি এই ক্ষেত্রে এই দু’টো সব সময় অনুসরণ করে চলেছি।” আর এই যে পরিবর্তন? ফেলুদা ও সময়ের আধুনিকীকরণ? তা নিয়েও কিন্তু চুপ থাকেননি পরিচালক।

তিনি যোগ করেন, “কিছু কিছু নতুন, কিছু কিছু বদল গল্পের খাতিরে আমরা করেছি। কারণ, সত্যজিৎ রায় নিজেও কিন্তু ‘নষ্টনীড়’ থেকে ‘চারুলতা’ করেছে। ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ যখন করেছে লেখকের (সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) পছন্দ হয়নি। কিন্তু একজন চলচ্চিত্রকারের একটা সিনেমাটিক লাইসেন্স থাকে।” অরিন্দম মনে করেন ওটিটিতে ওয়েব সিরিজ তৈরি করা মানে সাড়ে তিন ঘণ্টার একটা সিনেমা বানানো। তাই সেইটুকু সহনশীলতা দর্শকের থেকে আশা করেন তিনি।


অন্যদিকে ‘নতুন ফেলুদা’ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়? তিনি কী বলছেন? ফেলুর হাতে মোবাইল নিয়ে যা চর্চা চলছে, তা নিয়ে তাঁর বক্তব্য কী? পরমের কথায়, “যদি ফেলুদার হাতে স্মার্টফোন না থাকে তবে যে সময় গল্পগুলি লেখা, সেই সময় ফেলুদাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিৎ। মানে ওই পিরিয়ড পিস। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে ঠিকই হয়েছিল আমরা আধুনিকীকরণ করব। আর তা ছাড়া ক্রাইম থ্রিলারে মূল ভিত্তি একজন মানুষ সত্যি বলছে নাকি মিথ্যে। আর আজকে মানে এই যুগে দাঁড়িয়ে, সত্যি-মিথ্যে বিচার করার আমার কাছে হাজারটা উপায় আছে। আর স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের দৌলতেই তা রয়েছে। তাই সেটাই যদি না দেখানো হয়ে তবে তো রহস্যই ঘনীভূত করবে না।” ইতিমধ্যেই ওয়েব প্ল্যাটফর্ম জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজ। দর্শক দেখছেন। আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে ভালই।

বাঙালির ইমোশন ফেলুদা। তাঁর হাতেই নাকি স্মার্টফোন! সম্প্রতি অরিন্দম শীলের ওয়েব সিরিজ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকমহলে নানা কথা। কেউ এই আধুনিকীকরণকে ভালই ভাবে নিয়েছেন, আবার কেউ করছে ‘দূরছাই’। পরিচালক অরিন্দম শীল অবশ্য মনে করেন, সত্যজিৎ রায় নিজেও গল্পের প্রয়োজনে পরিবর্তন ঘটিয়েছে চিত্রনাট্যের…ফেলুদা তৈরিতে কতটা বাড়তি চাপ অনুভব করেছেন তিনি? টিভিনাইন বাংলা প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, “বাড়তি চাপ তো অবশ্যই থাকে। কারণ বাঙালির ইমোশনকে আমি যেন অসম্মান না করি। আর সত্যজিৎ রায়ের ভাবনাকে যেন অসম্মান না করি। আমি এই ক্ষেত্রে এই দু’টো সব সময় অনুসরণ করে চলেছি।” আর এই যে পরিবর্তন? ফেলুদা ও সময়ের আধুনিকীকরণ? তা নিয়েও কিন্তু চুপ থাকেননি পরিচালক।

তিনি যোগ করেন, “কিছু কিছু নতুন, কিছু কিছু বদল গল্পের খাতিরে আমরা করেছি। কারণ, সত্যজিৎ রায় নিজেও কিন্তু ‘নষ্টনীড়’ থেকে ‘চারুলতা’ করেছে। ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ যখন করেছে লেখকের (সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) পছন্দ হয়নি। কিন্তু একজন চলচ্চিত্রকারের একটা সিনেমাটিক লাইসেন্স থাকে।” অরিন্দম মনে করেন ওটিটিতে ওয়েব সিরিজ তৈরি করা মানে সাড়ে তিন ঘণ্টার একটা সিনেমা বানানো। তাই সেইটুকু সহনশীলতা দর্শকের থেকে আশা করেন তিনি।


অন্যদিকে ‘নতুন ফেলুদা’ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়? তিনি কী বলছেন? ফেলুর হাতে মোবাইল নিয়ে যা চর্চা চলছে, তা নিয়ে তাঁর বক্তব্য কী? পরমের কথায়, “যদি ফেলুদার হাতে স্মার্টফোন না থাকে তবে যে সময় গল্পগুলি লেখা, সেই সময় ফেলুদাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিৎ। মানে ওই পিরিয়ড পিস। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে ঠিকই হয়েছিল আমরা আধুনিকীকরণ করব। আর তা ছাড়া ক্রাইম থ্রিলারে মূল ভিত্তি একজন মানুষ সত্যি বলছে নাকি মিথ্যে। আর আজকে মানে এই যুগে দাঁড়িয়ে, সত্যি-মিথ্যে বিচার করার আমার কাছে হাজারটা উপায় আছে। আর স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের দৌলতেই তা রয়েছে। তাই সেটাই যদি না দেখানো হয়ে তবে তো রহস্যই ঘনীভূত করবে না।” ইতিমধ্যেই ওয়েব প্ল্যাটফর্ম জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজ। দর্শক দেখছেন। আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে ভালই।