দিনের পর দিন বিয়ারের মতো নিজের মূত্র পান করেছেন এই বলিউড অভিনেতা, তারপর
‘ঘাতক’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন হাঁটুতে গুরুতর চোট পান তিনি, আর সেই সময় অজয় দেবগনের বাবা, খ্যাতনামা ফাইট মাস্টার বীরু দেবগনের দেওয়া এক অদ্ভুত পরামর্শে তিনি নাকি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।

কর্ম জীবনে প্রতিটা মানুষেরই কত না অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়। অভিনেতারাও সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েন না। তবে জীবনে এমন কিছু ঘটনা থেকে যায়, যা পরে মনে পড়লে বেশ অবাক লাগে। অনেক সময় বিশ্বাসই করা যায় না। এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। যা শুনলে রীতিমত চমকে উঠতে হয়।
‘ঘাতক’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন হাঁটুতে গুরুতর চোট পান তিনি, আর সেই সময় অজয় দেবগনের বাবা, খ্যাতনামা ফাইট মাস্টার বীরু দেবগনের দেওয়া এক অদ্ভুত পরামর্শে তিনি নাকি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি ‘দ্য লালানটপ’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পরেশ রাওয়াল তাঁর সেই সিক্রেট ফাঁস করেন। বলেন, “ঘাতক ছবির এক মাছ বাজারের দৃশ্যে রাকেশ পাণ্ডেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলাম। পায়ে ছিল চপ্পল, আর তাতেই পা পিছলে পড়ে যাই। পড়ে গিয়ে হাঁটুতে মারাত্মক চোট পাই।” এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল নানাবতী হাসপাতালে।
সেই সময়ই একদিন হাসপাতালে এসেছিলেন বীরু দেবগন। পরেশ বলেন, “উনি জানতে পারেন আমি ভর্তি, সঙ্গে সঙ্গে আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি আমার কথা শুনবে?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।’ তখন উনি বললেন, ‘সকালে উঠে নিজের প্রস্রাব পান করো। সব যোদ্ধারাই এটা করে থাকেন।’ শুনে আমি হতবাক!”
তবে বীরু দেবগনের কথায় ভরসা রেখেই সাহস করে ওই পরামর্শ নাকি মানে নেন পরেশ। বলেন “আমি ঠিক করলাম এটা করব, তবে যেহেতু একেবারেই নতুন, তাই ধীরে ধীরে পান করলাম, যেন বিয়ার খাচ্ছি।” টানা ১৫ দিন সেই পদ্ধতি অনুসরণ করেন তিনি।
এরপর যা ঘটল, তা নিজেই অবাক করেছে ডাক্তারদেরও। অভিনেতা বলেন, “১৫ দিন পর এক্স-রেতে দেখা গেল, হাঁটুর ভেতরে এমনভাবে হাড় জোড়া লেগেছে, যেন সিমেন করা হয়েছে! ডাক্তাররা বিস্মিত। যেখানে অন্তত দেড়-দু’মাস ভর্তি থাকার কথা, আমি ১৫ দিনেই সুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম।” এই ঘটনার শেষে পরেশ বলেন, “অনেকেই বিশ্বাস করবে না, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সেই পরামর্শ সত্যিই আমার সুস্থ হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিল।”
