‘এক ধাক্কায় বার করে দিয়েছি’, কাঞ্চন-বিতর্কে ফুঁসে উঠলেন প্রাক্তন স্ত্রী

Kanchan Mallick: কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে এই মুহূর্তে আলোচনা তুঙ্গে। তাঁর একটি মন্তব্যে একদা বন্ধুরাও তাঁকে করেছেন ত্যাগ। সুদীপ্তা চক্রবর্তী প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। চুপ করে রইলেন না অভিনেত্রী মানসী সিনহাও। এবার তাঁকেই সমর্থন কাঞ্চনের প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের যিনি আরজি কর কাণ্ডে তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রথম থেকেই ছিলেন সক্রিয়।

'এক ধাক্কায় বার করে দিয়েছি', কাঞ্চন-বিতর্কে ফুঁসে উঠলেন প্রাক্তন স্ত্রী
কাঞ্চন-বিতর্কে ফুঁসে উঠলেন প্রাক্তন স্ত্রীও
Follow Us:
| Updated on: Sep 03, 2024 | 10:30 PM

কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে এই মুহূর্তে আলোচনা তুঙ্গে। তাঁর একটি মন্তব্যে একদা বন্ধুরাও তাঁকে করেছেন ত্যাগ। সুদীপ্তা চক্রবর্তী প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। চুপ করে রইলেন না অভিনেত্রী মানসী সিনহাও। এবার তাঁকেই সমর্থন কাঞ্চনের প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের যিনি আরজি কর কাণ্ডে তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রথম থেকেই ছিলেন সক্রিয়।

মানসী লিখেছিলেন, “কাঞ্চন মল্লিক এতদিন বন্ধু তালিকায় ছিলেন বলে, কাল থেকে বড়ই মুষড়ে ছিলুম। আজ চন্দন সেন এবং বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় পিঠ চাপড়ে বলে উঠলেন.. “হাল ছেড়ো না বন্ধু”! কালকেই বন্ধু তালিকা থেকে এক ধাক্কায় বার করে দিয়েছি কাঞ্চনকে। চন্দনদা আর বিপ্লব সেই তালিকায় বর্তমান বলে, আজ ভারি গর্ব হচ্ছে।” সেই প্রতিক্রিয়াই শেয়ার করেছেন পিঙ্কি। শুধু তাই নয়, কাঞ্চনকে উদ্দেশ্য করে তাঁর বক্তব্য, “স্বার্থপর কিছু মানুষ বন্ধুর বেশে থাকে। ফ্রয়েড বলেছেন যে সব মানুষের বন্ধু বেশি বুদ্ধাঙ্ক (আইকিউ)ও কম। পরিচিতের সংখ্যা অনেক হতে পারে। ভাল লাগল দেখে মানুষের ফোকাস নষ্ট করা আর সহজ নয়। বিচার মিলবেই, এটাই আমাদের সাধারণ মানুষের মূলমন্ত্র।”

কী বলেছিলেন কাঞ্চন যা নিয়ে এত বিতর্ক? কোথা থেকে ঘটনার সূত্রপাত? রবিবার তৃণমূলের এক ধর্না মঞ্চে কাঞ্চন বলেন, “যাঁরা কর্মবিরতি করছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে। ভাল। তাঁরা সরকারি বেতন নিচ্ছেন তো নাকি নিচ্ছেন না? এটা আমার প্রশ্ন। বোনাস নেবেন তো? না নেবেন না?” সরকারি পুরস্কার গ্রহণ করবেন কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। যে চিকিৎসকরা প্রায় এক মাস ধরে বিচার আর নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের উদ্দেশে কাঞ্চন বলেছেন, ‘এমন কোনও কাজ আপনাদের করা উচিত নয় যে ডাক্তার ভগবান বলতে দু’বার ভাবেন।” এর পরেই অভিনেতা সুদীপ্তা চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “অনেকদিন ধরে একসঙ্গে অভিনয় করেছি। ওকে আমার জীবন থেকে ত্যাগ করলাম। শুভবুদ্ধি ফিরে পাক। চাবিটা খুঁজে ফেলে আবার যোগাযোগ করব।” প্রতিবাদ করেন বিদীপ্তাও। এর পরেই চাপের মুখে নতিস্বীকার করেন কাঞ্চন মল্লিক, চান ক্ষমাও।