RG Kar Protest: অবস্থানের ষষ্ঠী! শাঁখ বাজিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের নিজের হাতে আঁকা দুর্গার ছবি তুলে দিল ছোট্ট প্রতিবাদী

RG Kar Protest: মায়ের হাত ধরে এদিন ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে বেহালা থেকে চলে এসেছে ছোট ঈশান। সঙ্গে নিজের হাতে আকা দুর্গা। নিচে লেখা উই ডিমান্ড জাস্টিস। তাই এদিন আন্দোলনরত ডাক্তারদের হাতে তুলে দিল ঈশান।

RG Kar Protest: অবস্থানের ষষ্ঠী! শাঁখ বাজিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের নিজের হাতে আঁকা দুর্গার ছবি তুলে দিল ছোট্ট প্রতিবাদী
আন্দোলন মঞ্চে একেবারে অন্য ছবি Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2024 | 10:35 AM

কলকাতা: দুর্যোগ মাথায় নিয়েই আন্দোলনে অনড় জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৃহস্পতিবার নবান্নের পর শনিবার কালীঘাটেও ভেস্তে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানের ষষ্ঠ দিনে আরও তেজ বাড়ছে আন্দোলনের। এদিন বিকালেই আবার সেন্ট্রাল পার্ক থেকে স্বাস্থ্য ভবন পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আছে। সেই মিছিলে সাধারণ মানুষকেও আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে আরজি কর মামলার শুনানি। সুবিচারের দাবি ফের নতুন উদ্যোমে পথে নামছে সাধারণ মানুষ। বড়দের সঙ্গে পায়ে পা মেলাচ্ছে ছোটরাও। স্কুলে স্কুলে উঠেছে প্রতিবাদের ঢেউ। সামিল হয়েছে রাত জাগো কর্মসূচিতেও। এবার একেবারে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ছোট্ট প্রতিবাদীরা ডাক্তারদের হাতে তুলে দিল নিজের হাতে আঁকা দুর্গা প্রতিমার ছবি। বাজল শাঁখ। 

মায়ের হাত ধরে এদিন ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে বেহালা থেকে চলে এসেছে ছোট ঈশান। সঙ্গে নিজের হাতে আঁকা দুর্গা। নিচে লেখা উই ডিমান্ড জাস্টিস। তাই এদিন আন্দোলনরত ডাক্তারদের হাতে তুলে দিল ঈশান। সঙ্গে এও বলল, “জাস্টিস চাইতে আমি দুর্গা মাকে এঁকেছি। ওটাই আমি ডাক্তারকাকুদের হাতে তুলে দেব। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক।” ঈশানের আবার পরীক্ষা চলছে স্কুলে। কিন্তু তাও নাকি পড়া সামলে ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে বলে জানাচ্ছে তার মা। আর ছেলের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনিও তাঁকে নিয়ে চলে এসেছেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে।  

একেবারে খুদে প্রতিবাদীর এই প্রচেষ্টায় যেন নতুন করে অক্সিজেন পাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এক আন্দোলনকারী তো বললেন, “এ যে কত বড় অনুভূতি কী আর বলব। যে ভালবাসা আমরা পাচ্ছি তা বলে বোঝানো যায় না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেটাই বাচ্চাটা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেছে। খুব সুন্দর। এইসব আবেগই তো আমাদের পথচলার শক্তি।”