Jalpaiguri: ‘উত্তরবঙ্গ লবির’ মাথাকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, সমাজকর্মীকে থানায় ডেকে পুলিশ নিজেই চাপে

Jalpaiguri: উত্তরবঙ্গ লবির মাথাকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করায় সমাজকর্মীকে নোটিশ দিয়ে তলব পুলিশের। কোন ধারায় তলব? প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী। যদিও ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানিয়েছেন, যা করা হয়েছে তা আইন মেনেই করা হয়েছে।

Jalpaiguri: ‘উত্তরবঙ্গ লবির’ মাথাকে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, সমাজকর্মীকে থানায় ডেকে পুলিশ নিজেই চাপে
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 15, 2024 | 8:30 AM

জলপাইগুড়ি: পুলিশের বিরুদ্ধে এবার অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন সমাজকর্মী অঙ্কুর দাসের আইনজীবী সৌজিত সিংহ। জানা গিয়েছে তিলোত্তমা কান্ডে ‘উত্তরবঙ্গ লবির’ মাথা বলে পরিচিত ডাক্তার সুশান্ত রায়কে নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন গ্রিন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার সম্পাদক অঙ্কুর দাস। এরপরই ওই বিষয়ে পাবলিক গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ করেন ডাক্তার সুশান্ত রায়।

ওই ঘটনায় নোটিস পাঠিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় অঙ্কুর দাসকে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় তলব করে পুলিশ। সন্ধ্যায় সৌজিত সিংহ এবং রাহুল হোড় নামে দুই আইনজীবী এবং শেখর মজুমদার নামে জলপাইগুড়ি নাগরিক সংসদের এক প্রতিনিধিকে নিয়ে থানায় যান অঙ্কুর দাস। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর ফিরেও আসেন। কিন্তু পুলিশের তরফে দেওয়া এই নোটিসে কোন ধারায় অঙ্কুরকে তলব করা হয়েছে তা উল্লেখ না থাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন আইনজীবী সৌজিত সিংহ।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে মারা গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের বাসিন্দা লক্ষ্মী রানি দেওয়ান। সেইসময় মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সগুলি ক্রান্তিতে ওই দেহ পৌঁছে দিতে মোটা টাকা চায় বলে অভিযোগ ওঠে। টাকা মেটাতে না পারায় লক্ষ্মী দেবীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে রওনা দেন স্বামী ও পুত্র। বিষয়টি নজরে আসলে রাস্তা থেকে দেহ শববাহী গাড়ি করে বিনামূল্যে বাড়িতে পৌঁছে দেন অঙ্কুর। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল প্রভাবিত অ্যাম্বুল্যান্স চালক সংগঠন। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করে। এবার আরজি কর আবহে ফের তাঁকে তলব করল পুলিশ।

এই খবরটিও পড়ুন

অঙ্কুর দাস বলেন, “তিনি তিলোত্তমার বার্নিং ঘাট সার্টিফিকেট ও সুশান্ত রায় এর সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতি এই দুই বিষয় নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। তা নিয়েই তাকে পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনি উত্তর দিয়েছেন।” আইনজীবী সৌজিত সিংহ বলেন, “অঙ্কুর দাসকে যেই নোটিস দিয়ে ডাকা হয়েছে তাতে কোনও ধারার উল্লেখ নেই। এটা ‘ব্যাড ইন ল’। দেশে আইন আছে। সেখানে নির্দিষ্টভাবে নোটিস দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে বলা আছে। তাই এইভাবে কাউকে পুলিশ তলব করতে পারে না। এটা পুলিশের অতি সক্রিয়তা ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা বিষয়টি পুলিশ আধিকারিকের নজরে এনেছি।” যদিও ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানিয়েছেন, যা করা হয়েছে তা আইন মেনেই করা হয়েছে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)