Bangladesh: একেবারে ঝাঁঝালো জবাব! ইলিশ না দিলেও, বাংলাদেশকে পেঁয়াজ দিচ্ছে ‘দাতা’ ভারত
India-Bangladesh: সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস ও প্রাণী মন্ত্রকের পরামর্শদাতা ফারিদা আখতার সাফ জানান যে দুর্গাপুজোয় ভারতে ইলিশ রফতানি করা হবে না। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে মন খারাপ হয়েছিল বাঙালির।
নয়া দিল্লি: ইটের জবাব পাটকেল নয়, বরং ভালবাসার সঙ্গেই জবাব দিতে অভ্যস্ত ভারত। তা প্রমাণ হল আরও একবার। বাংলাদেশের তরফে ইলিশ পাঠানোয় ‘না’ করা হলেও, খোলা হাতেই ভারত বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে পেঁয়াজ। শুক্রবারই সরকারের তরফে রফতানি শুল্ক অর্ধেক করে দেওয়া হয়। ফলে এবার সস্তায় পেঁয়াজ পাবে বাংলাদেশ।
পড়শি দেশের অস্থির পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যেও। বাংলাদেশে ছাত্র আন্দেোলন থেকে শুরু করে হাসিনা সরকারের পতন, নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন- টালমাটাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে। এর প্রভাব পড়েছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও। আওয়ামী লিগের সরকারের পতনের সময় যে অস্থির পরিবেশ হয়েছিল, তখন অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় বন্ধ করতে হয়েছিল সীমান্ত। স্থগিত রাখা হয়েছিল আমদানি-রফতানিও। পরে, অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আংশিকভাবে বাণিজ্য শুরু হলেও, পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক হয়েছে, তা বলা চলে না।
এই পরিস্থিতিতেই সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস ও প্রাণী মন্ত্রকের পরামর্শদাতা ফারিদা আখতার সাফ জানান যে দুর্গাপুজোয় ভারতে ইলিশ রফতানি করা হবে না। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে মন খারাপ হয়েছিল বাঙালির।
তবে বাংলাদেশ মুখ ফেরালেও, ভারত কিন্তু সেই আচরণ করেনি। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পেঁয়াজের উপরে রফতানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করা হয়। ভারত সরকারের এই ঘোষণায় স্বস্তিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা, কারণ সেখানে চড়া দামে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে না পারায়, পাকিস্তান, মিশরের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল। কিন্তু তারা পেঁয়াজের দাম কমায়নি। ফলে ভারী শুল্ক দিয়েই আমদানি করতে হচ্ছিল পেঁয়াজ। দামের ঝাঁঝেই চোখে জল আসছিল বাংলাদেশিদের। ভারতের এই সিদ্ধান্তে যেন প্রাণ ফিরে পেল পড়শি দেশ। ভারত রফতানি শুল্ক কমানোয় বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে বলেই অনুমান করছেন ব্যবসায়ীরা।